হাঁটু ব্যথা হলে যা করতে হবে, মানতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ

0

মানবদেহের ওজন বহনকারী যে কটি অস্থিসন্ধি রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো হাঁটু। এই হাঁটুর ব্যথা প্রধানত বয়স্ক ব্যক্তিদের বেশি হয়ে থাকে। তবে যেকোনো বয়সেই হাঁটুর ব্যথা হতে পারে।

ব্যথার অনেক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম অস্টিওআর্থ্রাইটিস বা বয়সজনিত অস্থিসন্ধি ক্ষয়। এ ছাড়া হাঁটুর লিগামেন্টে আঘাত পাওয়া, অস্থিসন্ধির মধ্যে দূরত্ব কমে যাওয়া, অতিরিক্ত শারীরিক ওজন প্রভৃতি হাঁটুর ব্যথার জন্য দায়ী। সাধারণত পুরুষদের তুলনায় নারীদের এই সমস্যা বেশি হয়ে থাকে।

অস্টিওআর্থ্রাইটিস হলে হাঁটুতে ব্যথার পাশাপাশি হাঁটু ফুলে যাওয়া, হাঁটুর সন্ধি শক্ত হয়ে যাওয়া, হাঁটু লাল বর্ণ হওয়া, গরম অনুভব করা, হাঁটু ভাঁজ করতে সমস্যা প্রভৃতি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এ সময় হাঁটাচলা বা দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে সমস্যা হয়। চলাফেরার সময় হাঁটু ভাঁজ করলে শক্ত মনে হতে পারে, ব্যথা অনুভব হতে পারে। হাঁটুর শক্তি কমে যেতে পারে, ফলে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হয়ে থাকে।

চিকিৎসা
হাঁটুব্যথায় বরফ কিংবা গরম পানির সেঁক আরাম দিতে পারে। কখন ও কোন প্রক্রিয়ায় সেঁক দেওয়া যাবে, সেজন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আঘাতের কারণে যদি হাঁটুতে ব্যথা হয়, তবে প্রাথমিক পর্যায়ে বরফঠাণ্ডা সেঁক আরাম দিতে পারে। তবে দীর্ঘদিন ব্যথা বা আর্থ্রাইটিসজনিত ব্যথায় গরম পানির সেঁক সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম।

হাঁটুর ব্যথার রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করতে পারেন। পাশাপাশি ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত কিছু ব্যায়াম করলে হাঁটুর ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। অনেক সময় রোগীর অস্থিসন্ধিতে ইনজেকশন দেয়া হয়, আবার অনেক সময় শেষ চিকিৎসা হিসেবে হাঁটু প্রতিস্থাপন করার দরকার হয়। তবে ওজন কমানো ও দৈনিক জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে না পারলে হাঁটুর ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। 

মো. সাইদুর রহমান, চিফ কনসালট্যান্ট (ফিজিও), রিঅ্যাকটিভ ফিজিওথেরাপি সেন্টার
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ এভিনিউ, ঢাকা

Share.