মাঙ্কিপক্স: আফ্রিকার বাইরে প্রথম মৃত্যু ব্রাজিল ও স্পেনে

0

ব্রাজিল ও স্পেনে প্রথমবারের মতো মাঙ্কিপক্সে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ব্রাজিলে মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত ৪১ বছর বয়সী একজন মারা গেছেন। আফ্রিকার দেশগুলোর বাইরে মাঙ্কিপক্সে এটাই প্রথম মৃত্যু। এরপর স্পেন একজনের মৃত্যুর কথা জানায়। ইউরোপে মাঙ্কিপক্সে এটা প্রথম মৃত্যু।

গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণকে বৈশ্বিক স্বাস্থ্যবিষয়ক জরুরি সতর্কতা ঘোষণা করে।

তবে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের সংখ্যা এখনও কম। এ ছাড়া সাধারণ মানুষের মাঙ্কিপক্সে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিও কম।

ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারানো ব্যক্তি লিমোফোমায় ভুগছিলেন। এ ছাড়া তার রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাও ছিল দুর্বল। আগে থেকে অন্য রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ওই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছিল। এতে তিনি বেশি অসুস্থ হয়েছিলেন বলে জানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬৬ জনের মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন, এমন সন্দেহভাজন রয়েছেন আরও ৫১৩ জন। দেশটিতে শনাক্ত ৯৮ শতাংশ রোগী পুরুষ এবং যাঁরা অন্য পুরুষদের সঙ্গে যৌন শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন।

ব্রাজিলের পর স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইউরোপে প্রথম মাঙ্কিপক্সে মৃত্যুর কথা জানায়। এক প্রতিবেদনে মন্ত্রণালয় জানায়, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ৩ হাজার ৭৫০ রোগীর সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, এর মধ্যে ১২০ জন বা ৩ দশমিক ২ শতাংশ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারানো ব্যক্তি সম্পর্কে মন্ত্রণালয় বিস্তারিত তথ্য জানায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধকেন্দ্রের (সিডিসি) সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত ২১ হাজার ১৪৮ জনের মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে।

মাঙ্কিপক্স একটি ডিএনএ ভাইরাস। কাউপক্স, ভ্যাক্সিনিয়া ও ভ্যারিওলা (স্ম্যালপক্স) এই গ্রুপের ভাইরাস। এটি একটি জুনোটিক ভাইরাস যার প্রাথমিক সংক্রমণ সংক্রমিত প্রাণীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে বা সম্ভবত তাদের অপর্যাপ্তভাবে রান্না করা মাংস খাওয়ার মাধ্যমে ঘটে বলে বিশ্বাস করা হয়। যেমন জংলী কুকুর, ইঁদুর, খরগোশ, কাঠবিড়ালি, বানর, সজারু প্রভৃতি।

কভিড-১৯ মহামারির প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে মাঙ্কিপক্সের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর আগে সাধারণত আফ্রিকার দেশগুলোয় এ ভাইরাস শনাক্ত হতো। 

Share.