কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে সম্ভাব্য ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা রাজধানীবাসীদের আতঙ্কিত করে তুলেছে। তবে সমস্যা মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র (ডিএসসিসি) শেখ ফজলে নূর তাপস।
ডিএসসিসির মেয়র বলেন, এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ১টা পর্যন্ত মশার লার্ভা ধ্বংসকারী ওষুধ ছিটানো হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে আটজন করে কাজ করবেন। একটি ছক করা হয়েছে। এ ছক অনুযায়ী তারা পুরো ওয়ার্ডে কাজ করবেন। আর দুপুর আড়াইটা থেকে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা মশক নিধনের কাজ চলবে।
লার্ভা চেকিং ও কীটনাশক স্প্রে করার সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে। এ দুটি কাজ দৈনন্দিন ভিত্তিতে বছরব্যাপী অব্যাহত থাকবে।
এ কাজগুলো প্রতিদিন মাত্র দুই ঘণ্টায় সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন থেকে সিটি করপোরেশন কর্মীরা সারা বছরব্যাপী দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করবেন বলে জানান মেয়র তাপস।
এবার আমরা যে কার্যক্রমগুলো হাতে নিয়েছি তা ডেঙ্গুর বিস্তার রোধ করবে বলে আশা করি। এবার আমরা আরও ভালো মানের কীটনাশক ব্যবহার করছি, যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, মশা নির্মূলের ক্ষেত্রে জনসাধারণ ডিএসসিসির সময়োপযোগী ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগের সুফল পাবেন।
যে জায়গাগুলোতে মশা নিধনের কাজ চলছে সে সম্পর্কে মানুষ এখন অবগত এবং তারা নিজেরাই এটি তদারকি করতে পারেন। আমি এ বিষয়ে মাঠ পর্যায় থেকে অবহিত হয়েছি এবং আশাবাদী যে সাধারণ মানুষ এ উদ্যোগের সুফল পাবেন, যোগ করেন মেয়র তাপস।
এছাড়া ঢাকার জলাশয়গুয় হাঁস ও তেলাপিয়া চাষের জন্য একটি প্রকল্প চলছে বলে জানান তিনি।
এ মাছটি (তেলাপিয়া) মশার ডিম খায়। মাসে দুই বার জাল ব্যবহার করে মাছ ধরা হবে যা আমাদের দ্বিমুখী সুবিধা দেবে। যখন জাল টানা হবে তখন আমরা মাছ পাব এবং একইসাথে পানিও প্রবাহিত হতে থাকবে, যার মাধ্যমে ডেঙ্গুর লার্ভা এবং ডিম ধ্বংস হবে, যোগ করেন মেয়র।
ডিএসসিসি ঘিরে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার নর্দমা ছড়িয়ে রয়েছে উল্লেখ করে মেয়র তাপস বলেন, আমরা মাসে দু’বার এসব নর্দমা পরিষ্কার করব… ইতোমধ্যে উন্মুক্ত স্থান থেকে বর্জ্য সরানোর কাজ শুরু হয়েছে।
প্রকল্পগুলো অব্যাহত রাখার ওপর জোর দিয়ে ডিএসসিসির মেয়র বলেন, কিছু দিন করেই এসব প্রকল্পের কাজ বন্ধ হবে না। এটি একটি গতিশীল প্রক্রিয়া এবং এটি অব্যাহত থাকবে। ♦
বার্তা সংস্থা ইউএনবির সাহায্য নিয়ে লেখা