ব্রেক্সিটমন্ত্রীর পদত্যাগ, জনসনের জন্য ধাক্কা

0

কোভিড-১৯ নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ওপর বীতশ্রদ্ধ দেশটির ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড ফ্রস্ট। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনার প্রতি আস্থা উঠে যাওয়ায় তাই পদত্যাগ করলেন ডেভিড।

ক্যাবিনেট মন্ত্রী ডেভিড ফ্রস্ট ছিলেন জনসনের ব্রেক্সিট পরিকল্পনার মূল স্থপতি। উত্তর আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে আলোচনার সময়ও তিনি ব্রিটেনের প্রতিনিধিত্ব করেন।

করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ ওমিক্রনে টালমাটাল যুক্তরাজ্য। ওমিক্রন যখন দেশটিকে ঝাঁকুনি দিয়ে যাচ্ছে, বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, ফ্রস্টের এমন সিদ্ধান্ত জনসনের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে দেখছেন রাজনীতিজ্ঞরা। তাদের ধারণা, ফ্রস্টের পদত্যাগে জনসনের রক্ষণশীল সরকারে আরও অস্থিরতা তৈরি হবে।

তবে ডেভিড ফ্রস্ট বলেন, আমি নিশ্চিত ব্রেক্সিট ঠিকপথে চলছে। তবে তবে সরকারের দিকনির্দেশনা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে আমার।

কোভিড-১৯ মহামারির মাঝে সাম্প্রতিক সময়ে নেয়া ব্রিটিশ সরকারের ভ্রমণবিষয়ক নির্দেশনা নিয়ে উদ্বেগের কথা ফ্রস্ট তার প্রধানমন্ত্রীকে জানান। গত শনিবার তিনি এ বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করেন।

ফ্রস্ট সব ধরণের বিধিনিষেধের বিপক্ষে ছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করবে। তিনি চেয়েছিলেন কীভাবে জনগণের ট্যাক্সের বোঝা কমানো যায়, কীভাবে নতুন উদ্যোক্তাদের গুরুত্ব দিয়ে অর্থনৈতিক নীতিমালা সাজানো যায়- এসব নিয়েই সরকার যেন কাজ করে।

ফ্রস্ট মনে করেন, কোভিড-১৯-কে সঙ্গে নিয়ে ও এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকা শিখতে হবে।

সপ্তাহখানেক আগে আগে পদত্যাগপত্র দিয়েছিলেন ফ্রস্ট। প্রধানমন্ত্রী জনসনের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু পদত্যাগের বিষয়টি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় আগেভাগে সরে দাঁড়ালেন।

জনসন প্রশাসনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ছাড়া গত বছর তার কর্মকর্তাদের করোনাভাইরাস বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের অভিযোগ বড় হয়ে ওঠে। এর সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে ওমিক্রন।

সর্ব সম্প্রতি লিবারেল ডেমোক্রাটদের কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন বরিস জনসনের দল। এ নিয়ে দলের নেতাদের তোপের মুখে পড়েন তিনি। তার ওপর বড় আয়োজনের ক্ষেত্রে টিকা পাস চালু করা নিয়ে তার দলের শখানেক আইনপ্রণেতা বিদ্রোহ করেন। সঙ্গত কারণে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তার নেতৃত্ব নিয়ে।

ব্রিটেনের প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা অ্যাঞ্জেলা রেনার বলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহ আমাদের দেশ অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাবে। ঠিক সেই মুহূর্তে সরকার সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খল হয়ে আছে।

Share.