ননএমপিও শিক্ষকদের নতুন তালিকা করার মৌখিক নির্দেশ

0

বিতর্ক এড়াতে ও নির্ভুল তালিকা পেতে জেলা প্রশাসকদের স্মরণাপন্ন হয়েছিলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবু রেহাই পাওয়া যাচ্ছিল না। কোটি টাকার রির্জার্ভ ফান্ডে থাকা ও এমপিভুক্ত এবং জাতীয়করণ হতেও অনিচ্ছুক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও শত শত ননএমপিও শিক্ষকদের তালিকা জমা দিয়েছে। এসব তালিকায় খণ্ডকালীন শিক্ষকদের আধিক্য ছিলো। এসব দেখে নতুন করে তালিকা সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। সে লক্ষ্যে এবার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ননএমপিও শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করতে মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের মৌখিক নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে জেলা প্রশাসকদের কার্যালয় থেকে টেলিফোনে এমন নির্দেশ দেয়া হয় শিক্ষা কর্মকর্তাদের। ফলে গত চার-পাঁচদিন ধরে খণ্ডকালীনসহ নানা ধরণের শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে তা গ্রহণ করা হচ্ছে না।

জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের টেলিফোনে বলা হয়েছে, ইআইআইএনধারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় সরকার অনুমোদিত স্ট্যাফিং প্যার্টানের মধ্যে যারা নিয়োগ পেয়েছেন শুধু তাদের নাম পাঠাতে হবে। এছাড়া ননএমপিও প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষক-কর্মচারীদের নাম। এর বাইরে অন্যকেউ না। এমনকি খণ্ডকালীন শিক্ষকরাও না।

যারা এমপিওভুক্ত হতে চায়না, এমনকি সরকারিও হতে চায় না, তারাও তালিকায় ঢুকেছেন। এই তালিকা তৈরি শুরু হয়েছে ঈদের দুদিন আগে। ২৮ মে’র মধ্যে তালিকা চূড়ান্ত করার কথা ছিলো। কি জন্য তালিকা তৈরি বা হালনাগাদ করা হচ্ছে তা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে এক ধরনের কথা বলা হলেও বেসরকারি শিক্ষক নেতারা বলছেন, করোনায় দূর্দশাগ্রস্থ ননএমপিও শিক্ষকদের জন্য সরকার থেকে আর্থিক বা অন্যকোনো সুবিধা দেয়ার জন্যই এটা করা হচ্ছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ ও মাদরাসা ও কারিগরি বিভাগ পৃথক চিঠিতে ব্যানবেইসের তালিকা হালনাগাদ করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেয়া হয় গত সপ্তাহে।

Share.