করোনার কারণে অ্যাংজাইটি অ্যাটাক? সামলানোর উপায়

0

রোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। অফিস বন্ধ। কেউ বাসায় থেকে অফিসের কাজ করছেন। কেউ আতঙ্কের মধ্যেই অফিস করছেন। সব মিলিয়ে পরিস্থিতিটাই অন্য রকম।

নিজেকে নিয়ে, আত্মীয়দের নিয়ে হচ্ছে দুশ্চিন্তা। সরাক্ষণ ঘরে বসে থাকার মানসিক চাপ। ঘরে থেকে অফিসের কাজ সামলানো। চাকরি হারানোর চিন্তা। মাস শেষে বেতন পাবেন কিনা সে চিন্তা। নানা জনের নানা রকম মানসিক চাপ। এসব আশংকা থেকেই হতে পারে অ্যাংজাইটি অ্যাটাক।

প্রখ্যাত মনোবিদ অমিতাভ মুখোপাধ্যায়ের মতে, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে যারা সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষও অস্থির হয়ে পড়ছেন। আর মানসিক উদ্বেগের রোগী যারা, স্বাভাবিকভাবেই তাদের এ সময়ে অসুখ বাড়বে। লাকডাউনের কারণে বাতাসে দূষণ কম, আর দূষণ কম হলে শ্বাসকষ্ট কম হওয়ার কথা। কিন্তু অ্যাংজাইট অ্যাটাক থেকে শ্বাসকষ্ট কিন্তু বাড়বে।’

লক্ষণ
যদি কোনও কারণে আমাদের দুশ্চিন্তা বেড়ে যায়, কিংবা কোন কারণে ভয় পেয়ে অনেকেই জোরে জোরে শ্বাসপ্রশ্বাস নেন। কেউ বুকে চাপ অনুভব করতে পারেন, কারো মাথা ঘোরাতে পারে, গা গোলাতে পারে, ঘাম হতে পারে, দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মনে হতে পারে, কিন্তু বাস্তবতা হলো আপনার ভয়ের কারণে, মস্তিষ্কের রক্তে আপদকালীন হরমোন বা অ্যাড্রিনালিন বেশি পরিমাণে মেশে। যদি এমন হয় তাহলে আপনার রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক থাকলেও আপনি শ্বাসক্ষ্ট অনুভব করবেন। এ অবস্থার জন্য দায়ী সিম্প্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম।

যা করবেন
• মনোবিদ অমিতাভ মুখোপাধ্যায়ের মতে, সর্বপ্রথম আপনাকে মনে রাখতে হবে যে, এমন পরিস্থিতে শুধু আপনি একাই পড়েননি। সমস্যাটা অনেকের। তাই ধৈর্য ধরা ছাড়া এ পরিস্থিতিতে অন্য কোনও কিছু করার উপায় নেই। যাঁরা চাকরির জন্য নতুন কোথাও চেষ্টা করছিলেন, বা যাঁরা চিন্তায় আছেন নিজের অফিস নিয়ে, তাঁরাও লকডাউন কেটে না যাওয়া অবধি কোনও সমাধান হয়তোবা খুঁজে পাবেন না। তাই সময়টুকু নিজেকে দিতে হবে।

• আপনি যদি কোন কারণে খুব ভয় পেয়ে থাকেন বা কোন কারণে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা হচ্ছে তাহলে মেডিটেশন করুণ। এমন কোনও বন্ধুর সঙ্গে কথা বলুন, যিনি আপনাকে বোঝেন, যাঁর সঙ্গে মনের অনেক কথা শেয়ার করতে পারেন।

• নিয়মিত ব্যায়াম করলে মনাসিক উদ্বেগ থেকে উপকার পাওয়া যায়।

• মনোবিদের সঙ্গে অনলাইনে আপনার সমস্যার কথা আলোচনা করতে পারেন।

যদি কোনও ভাবেই মনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারেন তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটা বুদ্ধিমানের হবে।

Share.