ইসরাইল-হামাস সংঘাতে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের শঙ্কা

0

সরাইল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতকামী গোষ্ঠীর হামাসের যুদ্ধ বিশ্বের আর্থিক বাজারের জন্য ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি হয়ে উঠেছে। এই যুদ্ধ অন্য দেশগুলোকেও সংঘাতের দিকে নিয়ে যাবে কি না তা পর্যবেক্ষণ করছেন বিনিয়োগকারীরা। সংঘাতে অন্য দেশগুলো জড়ালে তেলের দাম আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় সামরিক বাহিনীর স্থল অভিযানের মাধ্যমে ‘হামাসকে ধ্বংস’ করে দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন।

সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের (সিএসআইএস) এনার্জি সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রোগ্রামের সিনিয়র ফেলো বেন কাহিল বলেন, ধারণা করা হচ্ছে আমরা গাজায় ব্যাপক স্থল আক্রমণ এবং ব্যাপক প্রাণহানির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এতে বাজারে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে।

গত সপ্তাহে বাজার তুলনামূলক স্বাভাবিক থাকলেও, চলতি সপ্তাহে বিপর্যয় দেখা যাচ্ছে।

ইউনিক্রেডিটের গ্রুপ চিফ ইকোনমিক অ্যাডভাইজার এরিক নিয়েলসেন বলেন, বাজার তুলনামূলক ভালো আচরণ করবে কি না তা আমার জানা নেই। তবে এটি নিশ্চিতভাবে নির্ভর করছে সংঘাতটি স্থানীয়ভাবে শেষ হবে না কি মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়বে।

নিউ জার্সির প্রিন্সটনের দ্য ইকোনমিক আউটলুক গ্রুপের প্রধান বৈশ্বিক অর্থনীতিবিদ বার্নার্ড বাউমোহল বলেন, ক্রমবর্ধমান সংঘাতের ফলে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি এবং সুদের হার আরও ত্বরান্বিত হতে পারে। তবে এই খারাপ পরিস্থিতিতে অন্যান্য দেশে মূল্যস্ফীতি এবং সুদের হার বাড়ার সম্ভাবনা থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রে ব্যতিক্রম হতে পারে। কারণ বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বৈশ্বিক সংঘাতের সময় নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে যে দেশ পান সেখানে মূলধন বিনিয়োগ করেন।

বাউমোহলের আশা, সুদের হার কমতে পারে। আশা করি ডলার আরও শক্তিশালী হবে।

ইউরোপে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক থেকে আরেকবার সুদের হার বাড়ানোর সম্ভাবনা বেশি।

নোমুরার ইউরোপীয় অর্থনীতিবিদ জর্জ মোরান ব্যাংকের সাপ্তাহিক পডকাস্টে বলেছিলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ যদি আমাদের কিছু শিখিয়ে থাকে তবে তা হচ্ছে ভূ-রাজনীতির প্রভাবকে অবমূল্যায়ন করা উচিত নয়। 

Share.