দেশের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পাবজি ও ফ্রি ফায়ারসহ এ ধরনের ‘বিপজ্জনক’ সব গেম তিন মাসের জন্য বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চুয়াল কোর্ট গতকাল রুলসহ এ আদেশ দেন।
উচ্চ আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব। রিট আবেদনকারীর আরেকজন হচ্ছেন মোহাম্মদ কাউছার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
এ আইনজীবীরা পরে গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পাবজি ও ফ্রি ফায়ারসহ এ জাতীয় গেম তিন মাস বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকটক, লাইকি ও পাপজিসহ সব গেম এবং ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ বন্ধের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, শিক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
এছাড়া এ ধরনের অনলাইন গেম এবং অনলাইন স্ট্রিমিং অ্যাপ নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ, পর্যালোচনা করার জন্য একটি কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়। এ বিষয়ে একটি নীতিমালা তৈরির নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আগামী ১০ দিনের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী। জানা গেছে, দেশের শিশু-কিশোর, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এসব গেম ও অনলাইন ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপের বিরূপ প্রভাব তুলে ধরে গত ১৯ জুন বিবাদীদের কাছে আইনি নোটিস পাঠান সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী।
এসব গেম ও অনলাইন ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ দেশের শিশু-কিশোর, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অনলাইন আসক্তি তৈরি করছে। বিনষ্ট হচ্ছে শিক্ষা, সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও কিশোর-তরুণদের মধ্যে গড়ে উঠছে সহিংস মানসিকতা। প্রতিকার হিসেবে এসব গেম ও ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ বন্ধ বা নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয় আইনি নোটিসে।
কিন্তু বিবাদীদের কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে গত ২৪ জুন হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন তারা। দেশের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, লাইকি, পাবজির মতো গেম ও ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ বন্ধের নির্দেশনা চাওয়ার পাশাপাশি রুলের আরজি জানানো হয় রিট আবেদনে। ♦