সুস্বাস্থ্য ডেস্ক: হঠাৎ ছড়িয়ে পড়া বৈশ্বিক মহামারী যেন চায়না ন্যাশনাল মেশিনারী ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন, (সিএমসি); চায়না জেনারেল টেকনোলজি গ্রুপ (জিটি) ও বাংলাদেশের মানুষকে আরও কাছে নিয়ে এসেছে।
বাংলাদেশের কোভিড-১৯ মোকাবেলার সংকটপুর্ণ সময়ে সিএমসি খুব দ্রুত এগিয়ে আসে এবং বিপুল সংখ্যক মহামারীরোধী সামগ্রী বাংলাদেশ সরকারকে অনুদান দিয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে ১০ লাখ মাস্ক, ১০ হাজার নিরাপত্তা স্যুট, ১০ হাজার গগলস ও ২ হাজার তাপমাত্রা পরিমাপক থার্মোমিটার।
এপ্রিলের শুরু থেকে মহামারীর প্রাদুর্ভাব বাংলাদেশে ছড়িয়ে পরে। এখন পর্যন্ত ৪১৮৬ জন আক্রান্ত ও ১২৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন, এবং হাজার হাজার মানুষ আইসোলেসনে রয়েছেন। দুর্বল অর্থনীতি আর মেডিকেল সামগ্রীর অভাবের উভয়সঙ্কটে, বিশেষত মহামারী প্রতিরোধ সামগ্রীর অভাবের কারণে বাংলাদেশের মহামারী প্রতিরোধ ব্যবস্থা খুবই করুণ।
দুঃসময়ে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে চীনের কেন্দ্রীয় এন্টারপ্রাইজ হিসেবে সিএমসি ৩০ বছরেরও বেশী সময় ধরে বাংলাদেশের বাজারে উৎপাদনশীল ভূমিকা রাখছে। সিএমসি “বেল্ট অ্যান্ড রোড” উদ্যোগ ও “চীন-মঙ্গোল-ভারত-মায়ানমার” অর্থনৈতিক করিডরের জন্য বড় ল্যান্ডমার্ক প্রকল্প গ্রহণ করেছে। অতএব, বাংলাদেশের মানুষের কোভিড-১৯ দুর্ভোগের সাথে গভীরভাবে যুক্ত হয়ে, সিএমসি মেডিকেল সামগ্রী ক্রয় এবং সরবরাহের বিভিন্ন বাধা অতিক্রম করে যত দ্রুত সম্ভব বিপুল পরিমাণ মহামারী প্রতিরোধ সামগ্রী বাংলাদেশকে পাঠিয়েছে।
৭০ বছর ধরে বিকাশমান সিএমসি, চীনে প্রতিষ্ঠিত নতুন বৃহত্তর রাষ্ট্র-মালিকানাধীন উদ্যোগ যার মূল ব্যবসা আন্তর্জাতিক প্রকৌশল ঠিকাদারি এবং ইলেক্ট্রো-মেকানিকাল পন্যের আমদানি-রপ্তানি করে। ৩০ বছরেরও বেশী সময় ধরে, চীনা এন্টারপ্রাইজগুলোর দ্বারা গৃহীত আন্তর্জাতিক প্রকল্পের প্রথম ব্যাচ থেকে শুরু করে চীন-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে বৃহত্তম বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পটি সম্পন্ন হওয়ার পথে।
অনুদান সামগ্রী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোর ডিপোট (সিএমএসডি) এর ডিরেক্টর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডক্টর মোঃ শহিদুল্লাহ, চায়না ন্যাশনাল মেশিনারী ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন, (সিএমসি) এর জেনারেল ম্যানেজার চি ইউয়ে, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার উই না, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ঝু গুয়াংলেই, অপারেশন্স ম্যানেজার গুয়ো জিয়াংগনান, ডেপুটি ম্যানেজার ইঞ্জিঃ মোহাম্মদ হাসিব উদ্দিন তালুকদার, কমার্শিয়াল এক্সিকিউটিভ ওয়াং জিচিয়াং।
জেনারেল ম্যানেজার চি ইউয়ে বলেন সিএমসি গত ৩০ বছরেরও বেশী সময় ধরে নিষ্ঠার সাথে বাংলাদেশের পাওয়ার সেক্টরে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা মনে করি উভয় দেশের জনগণের যৌথ প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ কোভিড-১৯ এর বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমৃদ্ধি এবং উন্নয়ন ফিরিয়ে আনতে সমর্থ হবে। আমাদের বিশ্বাস মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পর চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্ব এবং সম্পর্ক আরও গভীর ও শক্তিশালী হবে!
বাংলাদেশে সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোর ডিপোট (সিএমএসডি) এর ডিরেক্টর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডক্টর মোঃ শহিদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের প্রয়োজনের সময় চীন সরকার, চীনের মানুষ এবং সিএমসি’র এই সহায়তা বাংলাদেশ কখনই ভুলবেনা। এই মহামারী সামগ্রী ঢাকা এবং অন্যান্য এলাকার সরবরাহ ঘাটতি দূর করবে। মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।