হংকংয়ের দর্শনার্থীদের অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেবে যুক্তরাষ্ট্র

0

হংকংয়ের হাজারো নাগরিককে দেড় বছরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমতি দেয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ ঘোষণা দিয়েছেন।

বাইডেন বলেন, চীন হংকংয়ের স্বাধীনতা খর্ব করছে। এ কারণে হংকংয়ের দর্শনার্থীদের ১৮ মাসের জন্য অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেবে যুক্তরাষ্ট্র।

দেশটিতে এরই মধ্যে অবস্থান করা হংকংয়ের হাজার বাসিন্দা বাইডেনের এ ঘোষণায় উপকৃত হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ ঘোষণায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন।

তাদের ভাষ্য, বাইডেনের ঘোষণা হংকংয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কুরুচিপূর্ণ হস্তক্ষেপ। যুক্তরাষ্ট্রে চীনের দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংগু বাইডেনের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বক্তব্য সত্যকে অসম্মান ও বিকৃত করেছে। তার সিদ্ধান্ত চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ।’

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হংকং কার্যালয় জানিয়েছে, চীন বিরোধিতার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত যুক্তরাষ্ট্র। হংকংয়ে অস্থিতিশীলতা উসকে দিতে চাইছে ওয়াশিংটন।

তবে যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণা করা হংকংয়ের নাগরিক ম্যাগি শাম জানান, অনেক শিক্ষার্থীর হংকংয়ে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের কথা ভাবে জেনে আনন্দিত হয়েছি। বাইডেনের এই সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।

ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থা হংকং ডেমোক্র্যাসি কাউন্সিলের কর্মকর্তা স্যামুয়েল চু বলেন, হংকংয়ের প্রায় এক লাখের মতো নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তে উপকৃত হবেন। হংকংয়ের পরিস্থিতি এখন অনেকেই জানেন। দেশ ছেড়ে অনেকেই শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয়, অন্যান্য দেশেও পাড়ি জমাচ্ছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জানান, পররাষ্ট্রনীতির বাধ্যবাধকতার কারণে হংকংয়ের নাগরিকদের অবস্থানের অনুমতি দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, হংকংয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও সংস্থা অকার্যকর করেছে চীন। মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটি।

হংকংয়ের নতুন নিরাপত্তা আইনে অধিকারকর্মী ও বিরোধী রাজনীতিকসহ শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের ঘটনাও উল্লেখ করেন বাইডেন।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে হংকং থেকে দেড় লাখের মতো দর্শনার্থী যুক্তরাষ্ট্রে আসে। আর গত বছর এ সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার।

Share.