বিটকয়েনের মত ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি’র মালিকানা, সংরক্ষণ বা লেনদেন অবৈধ বলে জনিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাই আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকি এড়াতে বিটকয়েনের মতো ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেন বা সহায়তা ও এর প্রচার থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করেছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রণকারী এ সংস্থাটি।
আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি’ হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে লেনদেন হওয়া এক ধরনের মুদ্রা। বর্তমানে আট হাজারের বেশি এ ধরণের মুদ্রা রয়েছে। তবে এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় বিটকয়েন। এছাড়া ইথেরিয়াম, রিপল ও লিটকয়েন ব্যবহার হচ্ছে।
ক্রিপ্টোকারেন্সির বিষয়ে স্পষ্টীকরণ করতে বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, সম্প্রতি কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে ভার্চুয়াল মুদ্রা ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়ে প্রকাশিত রিপোর্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরে এসেছে।
একটি নির্দিষ্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার গোপনীয় ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পত্রের মাধ্যমে পাঠানো মতামতের অংশ বিশেষ কোনো কোনো পত্রিকায় খন্ডিতভাবে উপস্থাপিত হয়েছে, যা কোনোক্রমে সাধারণভাবে প্রচারযোগ্য নয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, “সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এবং ইন্টারনেট হতে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায় যে, অনলাইন ভিত্তিক ভার্চুয়াল মুদ্রার (বিটকয়েন, ইথেরিয়াম, রিপল, লিটকয়) বিনিময় বা লেনদেন হচ্ছে। এসব ভার্চুয়াল মুদ্রা কোন দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষ দ্বারা ইস্যুকৃত বৈধ মুদ্রা ‘নয়’। তাই এর বিপরীতে কোন আর্থিক দাবি স্বীকৃতও থাকেনা। এসব মুদ্রায় লেনদেন বাংলাদেশ ব্যাংক বা অন্য কোন নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত নয়। অনলাইনে নামবিহীন বা ছদ্মনামিক প্রতিসঙ্গীর সঙ্গে ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেন মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সম্পর্কিত আইনের লংঘন হতে পারে।’’
কোনো বৈধ সংস্থার স্বীকৃত না হওয়ায় গ্রাহকরা ভার্চুয়াল মুদ্রার সম্ভাব্য আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকিসহ বিভিন্ন ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন।
এমতাবস্থায়, আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকি এড়াতে বিটকয়েনের মতো ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেন থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বিজ্ঞপ্তি আরও বলা হয়, কোন ভার্চুয়াল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সি বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত নয়। সম্ভাব্য আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকি এড়ানোর লক্ষ্যে যে কোনো ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রায় (যেমন বিটকয়েন, ইথারিয়াম, রিপল প্রভৃতি) লেনদেন অথবা এরূপ কার্যে সহায়তা প্রদান ও এতদসংক্রান্ত প্রচারণা থেকে বিরত থাকতে সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুনরায় নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ♦