বাংলাদেশ তথা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’। এ সিনেমার অভিনেত্রী জহরত মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
গত ১৯ জুলাই লন্ডনের একটি হোম কেয়ারে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই অভিনেত্রী। এ তথ্য জানিয়েছেন জহরতের পারিবারিক বন্ধু ফেরদৌস রহমান।
তিনি জানান, জহরত আরার বয়স হয়ছিল অন্তত ৮০ বছর। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন।
‘মুখ ও মুখোশ’-এর নির্মাণকাজ ১৯৫৩ সালে শুরু হয়।
১৯৫৪ সালের ৬ আগস্ট হোটেল শাহবাগে চলচ্চিত্রটির মহরত অনুষ্ঠিত হয়।
আবদুল জব্বার খান পরিচালিত এ চলচ্চিত্র ১৯৫৬ সালের ৩ আগস্ট মুক্তি পায়। ‘মুখ ও মুখোশ’-এর পথ ধরে এগিয়ে যায় বাংলাদেশের চলচ্চিত্রশিল্প।
অভিনেত্রী জহরত আরার জন্ম ঢাকায়। পঞ্চাশের দশকে বেতার ও মঞ্চে অভিনয় করতেন তিনি। একজন অ্যাথলেটও ছিলেন তিনি।
পত্রিকায় জব্বার খানের পাঠানো বিজ্ঞাপন দেখে চলচ্চিত্রে অভিনয়ে আগ্রহ দেখান জহরত। সঙ্গে ছিলেন সহপাঠি বান্ধবী পিয়ারী বেগম (নাজমা)।
তারা তখন ইডেন কলেজে পড়ালেখা করতেন।
চলচ্চিত্রে জহরত আরা ছিলেন পিয়ারী বেগমের ভাবী তথা নায়কের (জব্বার খান) ভাবীর চরিত্রে। তার স্বামী (আলী মনসুর) একজন অসৎ পুলিশ কর্মকর্তা। পিয়ারী বেগম করেছিলেন চলচ্চিত্রটির দ্বিতীয় প্রধান নারী চরিত্র আর চলচ্চিত্রের প্রধান নারী চরিত্র তথা নায়িকার চরিত্রটিতে ছিলেন পূর্ণিমা সেন গুপ্ত।
অভিনয় ছেড়ে জহরত আরা পাড়ি জমান যুক্তরাজ্যে। ♦