কভিড-১৯ মহামারীতে ডিজিটাল হাটে কোরবানির পশু বিক্রি গতবছরের চেয়ে এবার বেড়েছে কয়েকগুণ। ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) হিসাবে, সারা দেশে ১৭ জুলাই নাগাদ ১ হাজার ৮৬৫ কোটি ৫ লাখ টাকার পশু অনলাইনে বিক্রি হয়েছে। ঈদের আরও তিন দিন বাকি রয়েছে বলে টাকার এ অঙ্ক আরও বাড়বে।
ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল জানান, ১৭ জুলাই নাগাদ ডিজিটাল হাট থেকে সরাসরি বিক্রি হয়েছে ৮১৭টি পশু, স্লটার বুকিং হয়েছে ২৬২টি পশু।
সারাদেশে অনলাইনে বিক্রি হয়েছে ২ লাখ ৮৮ হাজার ৬৮টি পশু, মোট টাকার পরিমাণ ১ হাজার ৮৬৫ কোটি ৫ লাখ টাকা।
ই-ক্যাবের হিসাবে অনলাইনে ১ হাজার ৮৪৩টি ডিজিটাল মার্কেট প্লেসে দিনে প্রায় ১০০ কোটি টাকার বেশি কোরবানির পশু বিক্রি হচ্ছে।
গত বছর অনলাইনে ২৭ হাজারের বেশি কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছিল।
তমাল বলেন, ‘গতবারের তুলনায় এবার আমরা খুব ভাল সাড়া পেয়েছি। আজসহ আগামী দুদিন এ বিক্রির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশা করছি।’
বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, ‘অনেকেই অনলাইন থেকে পশু কিনেছেন। এবার গতবারের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি পশু অনলাইন থেকে বিক্রি হয়েছে।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অধীন এবারের ডিজিটাল হাট বাস্তবায়ন করছে ই-ক্যাব ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশন। গত ৪ জুলাই এ হাটের যাত্রা হয়।
ডিজিটাল হাট থেকে পশু কিনে তা ‘প্রসেস’ করে বাসা পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার সেবাও দেয়া হচ্ছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৪১ কোটি ২২ লাখ খাবার যোগ্য প্রাণী রয়েছে। ১ কোটি ১৯ লাখ কোরবানির জন্য পশু প্রস্তুত রয়েছে।
বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশি গরু লনলাইনে ৪০০ কেজি লাইভ ওয়েটের গরু প্রতিকেজি ৪২৫ টাকা, ৪০১ থেকে ৫০০ কেজি ৪৭৫ টাকা এবং ৫০১ থেকে ৬০০ কেজি ৫২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হবে। এর বাইরে হাইব্রিড বা বেশি ওজনের গরু অন্যান্য দামে বিক্রি করা হচ্ছে। ♦