অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে পোশাক শিল্প আজ শক্তিশালী

0

তৈরি পোশাক শিল্প অতীতের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে আজ একটি শক্তিশালী শিল্পে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি বলেন, এ শিল্পে টেকসই উন্নয়ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে শ্রমিকদের কল্যাণ ও সুষম শিল্প সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে।

নেদারল্যান্ডসে ডাচ-বাংলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিবিসিসিআই) আয়োজিত ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবসা উদ্যোগের মাধ্যমে পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের কল্যাণ’ শীর্ষক সেমিনারে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি এসব কথা বলেন।

শনিবার (১৭ জুলাই) ডাচ স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

ফারুক হাসান বলেন, ‘নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি পোশাক শিল্পে শিশুশ্রম অপসারণ এবং নিম্নতম মজুরি নিশ্চিত করে যথা সময়ের মধ্যে মজুরি পরিশোধ, কর্ম পরিবেশ স্বাস্থ্যসম্মত রাখা এবং এ ধরনের আরও অনেক কমপ্লায়েন্স প্রতিপালন শুরু হয়েছিল।

আজ এ শিল্পটি কমপ্লায়েন্স ও শ্রম অধিকারের সব ইস্যুতে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘করোনা অতিমারি চলাকালেও যেন জীবন ও জীবিকার মধ্যে সমন্বয় সাধন করে শ্রমিকদের করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা যায়, সে বিষয়েও বিজিএমইএ অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, আইএলও ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শের আলোকে বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত কারখানাগুলোর জন্য স্বাস্থ্যবিধি/প্রটোকল প্রণয়ন করেছে এবং পোশাক কারখানাগুলো কঠোরভাবে এ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালিত হচ্ছে। কারখানাগুলো যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে কি-না তা বিজিএমইএ থেকেও প্রতিনিয়ত নিবিড়ভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। পোশাক শিল্পের শ্রমিক ভাই-বোনদের সংক্রমণ পরীক্ষায় বিজিএমইএ গাজীপুরের চন্দ্রায় বিশ্বমানের পিসিআর ল্যাব স্থাপন করেছে। এ ল্যাবে শ্রমিক ভাই-বোনেরা স্যাম্পল পরীক্ষা করছেন। এসব ব্যবস্থা নেয়ার কারণে শ্রমিক ভাইবোনদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার ০.০৩ শতাংশে রাখা সম্ভব হয়েছে।’

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘২০১৩ সালে রানা প্লাজা ভবন ধসের পর আমাদের সরকারের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে শিল্পে স্থাপত্য, অগ্নি ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অনন্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে, যাতে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডসমূহ, আইএলও’র মতো দাতা সংস্থা সহায়তা প্রদান করেছেন। অধিকন্তু, শ্রম আইন দু’বার ২০১৩ ও ২০১৮ সময়ে সংশোধিত হয়েছে এবং কর্মপরিবেশে শ্রমিকদের কল্যাণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২০১৫ সালে শ্রমবিধি ঘোষণা করা হয়েছে। প্রত্যেক কারখানায় সেফটি কমিটি গঠন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নির্বাচনের মাধ্যমে শ্রমিকদের পার্টিসিপেশন কমিটিও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের তত্ত্বাবধানে কেন্দ্রীয় তহবিল গঠিত হয়েছে, যেখানে শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যয় করার জন্য পোশাক কারখানাগুলো তাদের রফতানি আয় প্রাপ্তির বিপরীতে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করছে।’

Share.