সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার কারাদণ্ড কেন্দ্র করে সহিংসতা অব্যাহত দক্ষিণ আফ্রিকায়। গত সপ্তাহে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর দেশজুড়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
দেশটিতে মঙ্গলবারও পুলিশের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ লোকজনের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় কয়েকটি শপিং মল পোড়ানো ও তছনছ করা হয়েছে।
আর গতকালের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে কয়েক দিনের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ জনে।
জানা গেছে, গত সপ্তাহে জুমাকে গ্রেপ্তারের পর ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ লুটতরাজ ও বর্ণবাদ বিলোপের ২৭ বছর পরও সমাজে থাকা অসাম্যবিরোধী ক্ষোভে রূপ নিয়েছে।
জ্যাকব জুমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। জুমা সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তদন্তে অংশ নিতে অস্বীকার করায় গত সোমবার দেশটির শীর্ষ আদালত তাকে ১৫ মাসের কারাদণ্ড দিলে পুরো দক্ষিণ আফ্রিকায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় কভিড-১৯-এর বিস্তার রোধে আরোপ করা কড়াকড়িতে ব্যাপক হারে বেড়েছে দারিদ্র্য।
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশটির বৃহত্তম শহর জোহানেসবার্গ ঘিরে কোয়াজুলু-নাটাল প্রদেশ (জ্যাকব জুমার পৈতৃক বাড়ি) থেকে শুরু করে গোয়াতেং প্রদেশ পর্যন্ত সংঘর্ষ ছড়িয়েছে।
এমন বাস্তবতায় সোমবার গভীর রাতে প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা জানান, সহিংসতা মোকাবিলায় হিমশিম খাওয়া পুলিশকে সহায়তা করতে তিনি সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সেনা মোতায়েনের পরও পাঁচ দিনের সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা কমেনি। মঙ্গলবার সেটি ৭২ জনে পৌঁছায় বলে জানায় পুলিশ।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছেন, দোকানগুলোয় লুটপাটের সময় পদদলনে বেশিরভাগ মৃত্যু হয়েছে। অন্য মৃত্যুগুলো হয়েছে গুলি ও ব্যাংকের এটিএম মেশিন বিস্ফোরণে।
দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সরকার সংঘর্ষ ও লুটপাট বন্ধে কাজ করছে।
জুমার সমর্থকদের অভিযোগ, তারা দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। ♦