অবৈধ ও নকল হ্যান্ডসেট বন্ধের পাশাপশি সব ধরনের মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলটরি কমিশনকে (বিটিআরসি) প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে দেশের প্রথম সারির আইসিটি প্রতিষ্ঠান “সিনেসিস আইটি”।
এরই মধ্যে নেটওয়ার্কে সচল থাকা গ্রাহকদের সব হ্যান্ডসেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রারে (এনইআইআর) নিবন্ধিত হয়েছে।
এখানে উল্লেখ্য যে, বিটিআরসিকে অবৈধ হ্যান্ডসেটের আমদানি রোধ, চুরির মাত্রা কমানো, মোবাইল ফোনভিত্তিক অপরাধ রোধের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও রাজস্ব আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে এনইআইআর প্রকল্প গ্রহণ করেছে বলে জানা যায়।
গত ১ জুলাই থেকে এনইআইআরের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে নতুন যেসব মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে, সেগুলো নেটওয়ার্কে সচল রেখেই এনইআইআরের মাধ্যমে হ্যান্ডসেটের বৈধতা যাচাই করা হবে। হ্যান্ডসেটটি বৈধ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা নিবন্ধিত হয়ে যাবে।
এনইআইআর প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০২০ সালের নভেম্বরে বিটিআরসির সঙ্গে চুক্তি করে দেশীয় কোম্পানি সিনেসিস আইটি।
চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তারা এনইআইআরে সিস্টেম চালু করেছে।
এদিকে প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রায় তিন কোটি হ্যান্ডসেটের চাহিদা রয়েছে। এর ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ স্মার্টফোন অবৈধভাবে আমদানি করা হয়। এ কারণে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার রাজস্ব হারায় সরকার। তাছাড়া এনইআইআর সিস্টেমের মাধ্যমে মোবাইল ফোন চুরির মাত্রা কমানোর পাশাপাশি মুঠোফোনের নানা ধরণের অপরাধ কমে আসবে।
সিনেসিস আইটির গ্রুপ সিইও রূপায়ন চৌধুরী জানান, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমারা এনইআইআরের কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছি এবং নিজস্ব প্রযুক্তি ও দেশীয় দক্ষ প্রকৌশলীদের দ্বারা এটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে, যা তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতীক বলে আমরা মনে করি।
তিনি আরও বলেন, এনইআইআর দেশের অর্থনীতি ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
সিনেসিস আইটির তথ্যপ্রযুক্তি ও অবকাঠামো বিভাগের মহাব্যবস্থাপক এবং বিভাগীয় প্রধান আমিনুল বারী শুভ্র বলেন, বিটিআরসির আন্তরিক সহযোগিতায় আমরা নির্ধারিত সময়ে সফলভাবে এনইআইআরের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছি। এ প্রকল্প বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতীক। এই সক্ষমতা প্রমান করে যে, আমরা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে গিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, যে উদ্দীপ্ত তারুণ্য এবং দেশপ্রেম আমাদের তরুণ প্রযুক্তিবিদদের মাঝে আমি দেখতে পাই, সেই দেশপ্রেমই সত্যিকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের পথ দেখাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। ♦