সম্প্রতি দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম দারাজ বাংলাদেশ (www.daraz.com.bd), এর করপোরেট অ্যাফেয়ার্স বিভাগে চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার হিসেবে এ.এইচ.এম. হাসিনুল কুদ্দুস (রুশো)-কে নিয়োগ দিয়েছে।
দারাজে যোগ দেয়ার আগে হাসিনুল কুদ্দুস বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেডে গভর্নমেন্ট অ্যান্ড স্টেকহোল্ডার রিলেশনসের পরিচালক ছিলেন।
করপোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্সে ১২ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতাসহ হাসিনুল কুদ্দুসের ১৭ বছরের সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি গ্রামীণফোন লিমিটেড ও হুয়াওয়ে টেকনোলজিস কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের মতো প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন।
তিনি দারাজে এখন নতুন পদে তার এ অভিজ্ঞতা ও দূরদৃষ্টি কাজে লাগাবেন।
এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমি নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে দারাজের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত। আমি প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সমাজ ও অর্থনীতির বিকাশের লক্ষ্যে পরিবর্তনে বিশ্বাসী। এছাড়া আমি সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়নে কাজ করে তাদের অসাধারণ কিছু অর্জনে সহায়তা করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।’
তিনি আরও বলেন, ‘লক্ষাধিক ক্রেতা ও বিক্রেতা দারাজের ওপর যে আস্থা রেখেছেন, আমার কাছে তা অত্যন্ত মূল্যবান এবং আমরা তাদের উদ্ভাবনী গ্রাহক সেবা দিতে আমাদের সব প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।’
দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন, ‘এ.এইচ.এম. হাসিনুল কুদ্দুসের করপোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স নিয়ে গভীর জ্ঞান ও সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে, যা দারাজ এবং সামগ্রিকভাবে দেশের ই-কমার্স খাতের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার হিসেবে তিনি তার নতুন চ্যালেঞ্জগুলো সফলভাবে মোকাবিলা করবেন।’
দারাজ
দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ, অসংখ্য বিক্রেতাকে লক্ষাধিক ক্রেতাদের সঙ্গে যুক্ত করেছে।
একশোর বেশি ক্যাটাগরির প্রায় এক কোটি ৯০ লাখের বেশি পণ্য কেনাকাটায় গ্রাহকদের তাৎক্ষনিক ও সহজ সুবিধা দেয়ার পাশাপাশি প্রতি মাসে ২০ লাখের বেশি পণ্য বিশ্বের সব প্রান্তে পৌঁছে দিচ্ছে দারাজ।
দারাজ তার গ্রাহকদের জন্য একই সঙ্গে একটি বাজার, মার্কেটপ্লেস ও কমিউনিটি।
দারাজ উদ্যোক্তাদের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো। কেননা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিমাসে ই-কমার্স সম্পর্কে পাঁচ হাজারের বেশি নতুন বিক্রেতাকে সচেতন ও দক্ষ করে তোলে।
দারাজ বিভিন্ন লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে বিশেষত তাদের ই-কমার্স অপারেশনগুলো মাথায় রেখে ‘দারাজ এক্সপ্রেস’ (ডেক্স নামে পরিচিত) নামক নিজেদের লজিস্টিক কোম্পানি গঠন করেছে।
দারাজ বিদ্যমান ও নতুন লজিস্টিক সরবরাহকারীদের ডিজিটালকরণে সহায়তা করছে।
২০১৮ সালে আলীবাবা গ্রুপ দারাজকে অধিগ্রহণ করে এবং ‘ডিজিটাল অর্থনীতির যুগে যেকোন স্থানে ব্যবসা সহজীকরণ’- এই লক্ষ্যের অংশ হিসেবে দারাজ সুনামের সঙ্গে কাজ করে চলেছে।
আলীবাবার অংশ হিসেবে দারাজ বাজারে তার প্রতিষ্ঠানগত উন্নয়নে আলীবাবার নেতৃত্ব ও প্রযুক্তি, অনলাইন বাণিজ্য, মোবাইল পেমেন্ট এবং লজিস্টিকের অভিজ্ঞতাকে ব্যবহার করছে। ♦