কভিড-১৯ সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর লকডাউন ঘোষণায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চলমান সব পরীক্ষা অর্নিদিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান জানান, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের ঢাকায় পৌঁছানোর ব্যবস্থা করবে কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি বাসে শিক্ষার্থীদের ঢাকায় পৌঁছে দেয়া হবে।
সভায় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক বেনু কুমার দে, নানা অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও প্রক্টর ভার্চুয়ালি অংশ নেন।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মনিরুল হাসান বলেন, ‘কঠোর লকডাউন ঘোষণা করায় ২৭ জুন থেকে অনুষ্ঠিতব্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব পরীক্ষা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। প্রক্টরের তত্ত্বাবধানে চারটি বাস শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্যাম্পাস থেকে রওনা দিয়ে ঢাকার সায়েদাবাদ পর্যন্ত যাবে। রোববার দুপুর ১২টায় ক্যাম্পাসের স্মরণ চত্বর থেকে বাসগুলো রওনা করবে।’
প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলোতে ঢাকাগামী শিক্ষার্থী ছাড়াও সংশ্লিষ্ট রুটের শিক্ষার্থীরা যেতে পারবে। শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ আইডি কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে।’
এর চার ঘন্টা পর চলমান পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল শনিবার মধ্যরাতে অনুষদের ডিনদের মৌখিক পরামর্শে পরবর্তী সরকারি প্রজ্ঞাপন না আসা পর্যন্ত নির্বাহী আদেশে পূর্বঘোষিত সব পরীক্ষা ৩০ জুন পর্যন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ সময় পূর্বঘোষিত রুটিন অনুযায়ী সব বিভাগ/ইনস্টিটিউট সংশ্লিষ্ট ডিনের সঙ্গে সমন্বয় করে পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
পরীক্ষা ৩০ জুন পর্যন্ত চলমান থাকায় আজ শিক্ষার্থীদের ঢাকায় পৌঁছে দেয়ার জন্য যে চারটি বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মরণ চত্বর থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল, সেগুলোও যাবে না বলে জানা গেছে।
রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান বলেন, ‘সরকারঘোষিত কঠোর লকডাউনের সময় পরিবর্তন করায় আমরা আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছি। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বুধবার পর্যন্ত সব ধরনের পরীক্ষা চলবে। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে পরীক্ষা স্থগিত থাকবে। এছাড়া আজ ঢাকার উদ্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ছাড়বে না।’ ♦
