ওয়েলকাম ট্রাস্ট ও চেন ইয়েথ-সেন ফ্যামিলি ফাউন্ডেশনের সহায়তায় সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিকাশের মাধ্যমে দৃষ্টিশক্তি উন্নয়নের গুরুত্ব বাড়াতে ইঞ্জিন স্যুট ট্রায়ালের একটি গবেষণায় অংশ নিতে যাচ্ছে ভিশনস্প্রিং।
ইঞ্জিন নামে এ গবেষণাটিতে চারটি বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হবে। ভিশনস্প্রিংয়ের গবেষাণাটি বয়স্কদের বিশেষত মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আর্থিক সেবার সহজলভ্যতা ও ব্যবহার বাড়াতে চশমার প্রভাব বুঝতে এ ট্রায়াল কাজ করবে।
গবেষণা পরিচালনায় ওয়েলকাম ট্রাস্ট ও চেন ইয়াত-সেন ফ্যামিলি ফাউন্ডেশন ৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন পাউন্ড অর্থায়ন করবে।
যুক্তরাজ্যের কুইনস ইউনিভার্সিটি বেলফাস্টের (কিউইউবি) অধ্যাপক নাথান কংগডন ও ভারতের এলভি প্রসাদ আই ইনস্টিটিউটের (এলভিপিইআই) অধ্যাপক রোহিত খান্না গবেষণাটিতে নেতৃত্ব দেবেন।
পৃথিবীর ২২০ কোটি মানুষ দৃষ্টি সমস্যায় ভুগছে। আইকেয়ার নারচার গুড হেলথ, ইনোভেশন, ড্রাইভিং সেফটি ও এডুকেশন- এ চার ধাপের গবেষণার মাধ্যমে দেখা হবে কিভাবে সাশ্রয়ী, কার্যকর ও সহজলভ্য উপায় – চশমার মাধ্যমে রাস্তায় দুর্ঘটনা কমানো, শেখার হার বৃদ্ধিকরণ, দৃষ্টিশক্তি কমাকে নিয়ন্ত্রণ করা এবং বৃদ্ধ অবস্থায় আর্থিক সচ্ছলতা উন্নিতকরণের মাধ্যমে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
থ্রিফট (ট্রান্সফরমিং, হাউজহোল্ড উইথ রিফ্রাকশন, অ্যান্ড ইনোভেটিভ ফাইনান্সিয়াল টেকনোলজি) ট্রায়ালটি সরকারী বয়স্ক ভাতা গ্রাহীতাদের মাঝে স্মার্টফোনের ব্যাংকিং অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করার জন্য বিনা খরচে দেয়া চশমাগুলোর প্রভাব কেমন তা গবেষণা করবে।
গবেষণাটির মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বয়স্কদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে বয়স্কভাতাদান কার্যক্রম আরও ডিজিটালাইজড করতে সহায়তা করবে।
বিশ্বব্যাংকসহ দেশের অন্য সংস্থা প্রবীণদের সামাজিক সুরক্ষা ভাতাদানে ই-ব্যাংকিং ব্যবহারের মডেল অনুসরণ করতে পরামর্শ দিচ্ছে। তবে এটি তখনই সুফল বয়ে আনবে যখন দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার সমস্যা সফলভাবে মোকাবেলা করা যাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ফ্লোরিডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান, গুড বিজনেস ল্যাব, ভিশনস্প্রিং এবং মোমোদ ফাউন্ডেশনের দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা থ্রিফটের গবেষণাটি বাস্তবায়ন করা হবে।
থ্রিফট গবেষণার মূল গবেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথের অ্যাসোসিয়েট সায়েন্টিস্ট ড. অতনু রাব্বানী বলেন, “বাংলাদেশের সামাজিক পেনশন ব্যবস্থাটি এই কার্যক্রমের একটি অন্যতম উদাহরণ। সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী মুল্যের চশমা ব্যবহার বয়স্কদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে কতটুকু কার্যকর তা এই গবেষণায় পরিক্ষা করে দেখা হবে।”
বিশ্বের ছয়টি দেশের সরকারী, একাডেমিক, এনজিও ও বেসরকারী খাতের মোট ২৯টি প্রতিষ্ঠান সহযোগী হিসেবে এই ইঞ্জিন গবেষণাটি পরিচালনা করবে।
ভিশনস্প্রিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এলা গুডউইন বলেন, “এই গবেষণাটি দৃষ্টিশক্তি সুরক্ষা খাতের জন্য একটি অনন্য উদ্যোগ। আমরা আশা করি, থ্রিফট গবেষণার ফল আর্থিক সেবার সহজলভ্যকরণ এবং স্বাস্থ্য খাতের নীতিগুলোকে আরও জনবান্ধব করবে। ফলে প্রবীনরা আরও সহজে মোবাইল ব্যংকিং সেবা নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংযুক্ত সামাজিক সুরক্ষা কার্জক্রমে অংশ নিতে পারবে।”
ওয়েলকাম ট্রাস্ট ও চেন ইয়াত-সেন ফ্যামিলি ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এ গবেষণাটি পরিচালিত হবে।
ইঞ্জিন স্টাডিজের শীর্ষস্থানীয় গবেষকরা হলেন, যুক্তরাজ্যের কুইনস ইউনিভার্সিটি বেলফাস্টের (কিউইউবি) অধ্যাপক নাথান কংগডন এবং ভারতের এলভি প্রসাদ আই ইনস্টিটিউটের (এলভিপিইআই) অধ্যাপক রোহিত খান্না।
গবেষনায় অন্য অংশীদারদের মধ্যে রয়েছে আলঝাইমারস ও রিলেটেড ডিসঅর্ডারস সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া (এআরডিএসআই), এশিয়া ইনজুরি প্রিভেনশন ফাউন্ডেশন (এআইপিএফ), সিবিএম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়/জেপিজি ব্র্যাক স্কুল অব পাবলিক হেলথ, ফ্লোরিডা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়, জর্জ ইনস্টিটিউট ইন্ডিয়া, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, এইচসিএম সিটি ইউনিভার্সিটি অব পাবলিক হেলথ, এইচসিএম সিটি আই হসপিটাল, জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়, এলভি প্রসাদ আই ইনস্টিটিউট, মমদা ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরোসায়েন্সেস ইন্ডিয়া, নিউ ইংল্যান্ড কলেজ অব অপটোমেট্রি, অরবিস ভিয়েতনাম, পিইইকে, রিমন লিমিটেড, আলস্টার বিশ্ববিদ্যালয়, মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়, মিশিগান গুড বিজনেস ল্যাব, দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, জিম্বাবুয়ে বিশ্ববিদ্যালয়, ভিয়েতনাম পরিবহন মন্ত্রণালয়, ভিশনস্প্রিং ও জিম্বাবুয়ে অপটোমেট্রিক অ্যাসোসিয়েশন। ♦