মূলধারার সমাজে অন্তর্ভুক্তিতে উৎসাহ দিতে বিশেষভাবে সক্ষম তিন ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়েছে দারাজ বাংলাদেশ। তাদের সাধারণত সমাজের মূলধারার মানুষ থেকে দূরে রাখা হয়। ফলে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তারা নিজেদের জীবিকা নির্বাহের জন্য কাজ করার সুযোগ পান না।
এমন মানুষদের কাজের সুযোগ তৈরি করে দিতে অনেক সংগঠন নানা ধরণের উদ্যোগ নিয়েছে। এমনই একটি সংগঠন ‘অদম্য ফাউন্ডেশ’ -এর সঙ্গে দারাজ বাংলাদেশ যৌথ অংশীদারিত্ব করেছে।২০১৩ সাল থেকে সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের অনুপ্রেরণা দিয়ে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য ও বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে মূলধারার সমাজে অন্তর্ভুক্ত করতে নিরলস কাজ করছে। এরই আওতায় দারাজ এমন তিনজনকে নিয়োগ দিয়েছে, যারা তাদের শারীরিক সীমাবদ্ধতা জয় করে প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে কাজ করার সামর্থ্য রাখেন।
সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ প্রতিষ্ঠান হিসেবে দারাজ এমন প্রচেষ্টায় বিশ্বাস করে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি সবার জন্য সমান অধিকারেও বিশ্বাসী।
এই তিনজন তাদের দক্ষতা ও যোগ্যতা দিয়ে যথাযথ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। দারাজে তারা পরিচালনা বিভাগের ‘কোয়ালিটি কন্ট্রোল অফিসার’ হিসেবে যোগ দিয়েছেন।
সমাজের কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের এমন সুযোগ দিতে ভবিষ্যতে আরও অংশীদারিত্বমূলক কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে দারাজ।
দারাজ
দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ। প্রতিষ্ঠানটি অসংখ্য বিক্রেতাকে লাখো ক্রেতার সঙ্গে যুক্ত করেছে।
একশোর বেশি ক্যাটাগরির প্রায় ১ কোটি পণ্য কেনাকাটায় গ্রাহকদের তাৎক্ষনিক ও সহজ সুবিধাদানের পাশাপাশি প্রতি মাসে ২০ লাখের বেশি পণ্য বিশ্বের সব প্রান্তে পৌঁছে দিচ্ছে দারাজ।
দারাজ তার গ্রাহকদের জন্য একই সঙ্গে একটি বাজার, মার্কেটপ্লেস ও কমিউনিটি। দারাজ উদ্যোক্তাদের জন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো, কেননা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিমাসে ই-কমার্স সম্পর্কে পাঁচ হাজারের বেশি নতুন বিক্রেতাকে সচেতন করে তোলে।
দারাজ নানা লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে, বিশেষত তাদের ই-কমার্স অপারেশনগুলো মাথায় রেখে ‘দারাজ এক্সপ্রেস’ (ডেক্স নামে পরিচিত) নামক নিজেদের লজিস্টিক কোম্পানি গঠন করেছে। দারাজ বিদ্যমান ও নতুন লজিস্টিক সরবরাহকারীদের ডিজিটালকরণে সহায়তা করছে।
২০১৮ সালে আলীবাবা গ্রুপ দারাজকে অধিগ্রহণ করে এবং ‘ডিজিটাল অর্থনীতির যুগে যে কোন স্থানে ব্যবসা সহজীকরণ’- এ লক্ষ্যের অংশ হিসেবে দারাজ সাথে কাজ করে চলেছে। আলীবাবার অংশ হিসেবে দারাজ বাজারে তার প্রতিষ্ঠানগত উন্নয়নে আলীবাবার নেতৃত্ব ও প্রযুক্তি, অনলাইন বাণিজ্য, মোবাইল পেমেন্ট এবং লজিস্টিকের অভিজ্ঞতা ব্যবহার করছে। ♦