গত মৌসুমে আইপিএলে জৈব সুরক্ষা বলয় ভালভাবে কাজ করলেও এবার তা হয়নি। ফলে একের পর এক ক্রিকেটার ও সহকারী প্রশিক্ষক কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। পরিস্থিতি এমন যে বন্ধ করে দিতে হল এ প্রতিযোগিতা।
প্রসঙ্গত গত মৌসুমে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) সুরক্ষা বলয় তৈরির দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল ইংল্যান্ডের একটি সংস্থাকে। এবার কেন কভিড আক্রান্ত হলো ক্রিকেটাররা তা জানার চেষ্টা করেছে আনন্দবাজার পত্রিকা। বিষয়টি জেনে নিতে পারেন-
জৈব বলয় বারবার ভেঙেছে
এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, জৈব সুরক্ষা বলয় অনেক ক্ষেত্রে নষ্ট হয়েছে। হোটেল সংরক্ষণের ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হয়নি। শোনা যাচ্ছে, একটি দল তাদের ক্রিকেটারদের শপিং মলের মধ্যে থাকা হোটেলে রেখেছিল। আর একটি দল গোটা হোটেল সংরক্ষণ করে রাখলেও অন্য কোথাও খেলতে যাওয়ায় ১২ দিন অন্য শহরে ছিল। কিন্তু সেই ১২ দিন ওই হোটেল তারা সংরক্ষিত রাখেনি। ফলে ওই দিনগুলোয় সেখানে অন্য মানুষের অবাধ যাতায়াত ছিল। এর ফলে এ সুরক্ষা বলয় ভেঙে গিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
মাঠ কর্মীদের জৈব বলয়ে না থাকা
অনুশীলন চলাকালে মাঠ কর্মীদের সংস্পর্শে আসতে হয় ক্রিকেটারদের। কিন্তু মাঠ কর্মীরা সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে না থাকায় তাদের থেকেও আক্রান্ত হতে পারেন ক্রিকেটাররা। এমনটাও শোনা যাচ্ছে, মাঠ কর্মীদের অনেকে দীর্ঘদিন ধরে কবিড-১৯ আক্রান্ত হলেও তাদের দিয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়া হতে থাকে। মুম্বই, চেন্নাই ও দিল্লিতেও এ ঘটনা ঘটেছে।
বারবার শহর বদলানো
এক শহর থেকে অন্য শহরে বারবার যাওয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় হার কিছুটা বেড়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে এক শহর থেকে অন্য শহরে আসার পর আক্রান্ত হয়েছেন ক্রিকেটাররা।
অকেজো জিপিএস ব্যবস্থা
গত মৌসুমে ক্রিকেটারদের গতিবিধি নজরে রাখার জন্য জিপিএস-এর ব্যবস্থা করা হলেও এবার তা ঠিকভাবে করা হয়নি। যারা এ কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাদের কাছে একটি দল ক্রিকেটারদের তথ্য চেয়েছিল। সে তথ্য যখন এসে পৌঁছায়, তার দুদিন আগে সেই শহর ছেড়ে দিয়েছে ওই দল। ♦