হুয়াওয়ে ক্যারিয়ার কংগ্রেস ২০২১ শুরু, চলবে মাসজুড়ে

0

দেশ ও দেশের বাইরে আইসিটি খাত সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আইসিটি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে বিশেষ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। হুয়াওয়ে ক্যারিয়ার কংগ্রেস ২০২১’ শীর্ষক এ সম্মেলনে টেলিযোগাযোগ খাতের সম্ভাবনা, নতুন আবিস্কার ও এগুলোর কার্যকারীতা নিয়ে নানা মহল মত বিনিময় ও আলোচনা করবেন।

গতকাল এ কংগ্রেসের উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন হুয়াওয়ের গ্লোবাল পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড ঝাও, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ঝ্যাং ঝেংজুন, হুয়াওয়ের টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা শু ডংজিয়ান, প্রতিষ্ঠানটির সিওও তাও গুয়াংইয়াও ও অন্যরা।

অনুষ্ঠানে ‘ন্যাশনাল ব্রডব্যান্ড রেফারেন্স শেয়ারিং’ নিয়ে বক্তব্য দেন উইন্ডসোর প্লেস কনসাল্টিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্কট ডব্লিউ মাইনহেন।

‘ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন: এক্সপেকটেশন অ্যান্ড কনসিডারেশন্স ফর আইএমটি ২০২০ রোল আউট’ শীর্ষক আলোচনা করেন আইটিইউ’র এশিয়া প্যাসিফিক অফিসের মুখপাত্র অমিত রিয়াজ।

পাশাপাশি ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনের ইন্ডাস্ট্রি ইকোসিস্টেম এনগেজমেন্ট ডিরেক্টর কোনেশ কোচহাল।

ভবিষ্যতে বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের টেলিকম অপারেটর, অংশীদার, নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতিনিধি, চিন্তাবিদ ও শিক্ষাবিদরা কভিড-১৯ এর সব সতর্কতা বজায় রেখে এ অনুষ্ঠানে সরাসরি ও ভার্চুয়াল মাধ্যমে অংশ নেবে বলে আশাবাদী আয়োজক সংস্থা।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অবকাঠামো নির্মাণে বৈশ্বিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে হুয়াওয়ে নানা শিল্পের ব্যবসা প্রসার ও এর উন্নয়নে নতুন উপায় অনুসন্ধানে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে অনুষ্ঠানটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেখানে অংশগ্রহণকারী ও আলোচকরা প্রযুক্তি বিষয়ক নানা ট্রেন্ড এবং ব্যবসার সমাধান সম্পর্কে তাদের মত বিনিময় করবেন।

অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রের সর্বাধুনিক উদ্ভাবনগুলো তুলে ধরবে যাতে সবাই এগুলো সম্পর্কে জানতে পারে। এর মাধ্যমে খাত সংশ্লিষ্টরা নানা ব্যবসাখাতে সম্ভাব্য আইসিটি সমাধান নিয়ে ও প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তি কীভাবে সমাজে অবদান রাখবে তা জানতে পারবেন। এ কংগ্রেসে টেলিযোগাযোগ খাতের উদ্ভাবন নিয়েও আলোচনা করা হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, সামগ্রিক ডিজিটাল রূপান্তরের দিকে বাংলাদেশের দ্রুত অগ্রযাত্রা বেশ উৎসাহব্যঞ্জক ও সন্তুষ্টিজনক। আমাদের ডিজিটাল রূপান্তরে অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখার জন্য আমি হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এ কংগ্রেসের মতো অনুষ্ঠান আমাদের প্রথাগত ধারণার বাইরে ভাবতে ও ভবিষ্যতের ইন্টেলিজেন্ট বিশ্বের সঙ্গে মানিয়ে নিতে নতুন ভাবনার অবতারণায় উৎসাহিত করবে।

স্বাগত বক্তব্যে হুয়াওয়ের গ্লোবাল পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড ঝাও বলেন, বাংলাদেশের ডিজিটাল যাত্রাকে সামনে এগিয়ে নিতে আমাদের কার্যকরী প্রযুক্তি ও আন্তরিক প্রচেষ্টা সবসময় থাকবে। আইসিটি অবকাঠামো খাতে স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা এ খাতকে নতুন দিগন্ত উন্মোচনে সহায়তা করবো; বিশেষত, ডিজিটাল উদ্ভাবনের মাধ্যমে শিল্পখাত ও মানুষের জীবনের মানোন্নয়নে স্মার্ট, দ্রুতগতিসম্পন্ন ও আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের প্রত্যয়ে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবো।

এ আয়োজন নিয়ে তিনি বলেন, হুয়াওয়ে ক্যারিয়ার কংগ্রেসে বিশ্বজুড়ে চলমান ডিজিটাল রূপান্তরের সাম্প্রতিক অনেক চিত্র তুলে ধরা হবে এবং এ আয়োজন বাংলাদেশের আইসিটি খাতে প্রবৃদ্ধির সুযোগ বৃদ্ধি করবে। পাশাপাশি, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, অপারেটর ও অন্যান্য ব্যবসায়িক খাতের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি সাধারণ ধারণার তৈরি করবে যা সবাইকে একটা মেলবন্ধনের মাধ্যমে কাজ করতে সাহায্য করবে।

‘লাইটিং আপ দ্য ফিউচার’ প্রেরণায় উজ্জীবিত এ অনুষ্ঠানে ইনটেলিজেন্ট নেটওয়ার্ক, ডিজিটাল ওঅ্যান্ডএম, ডিজিটাল সেবার ভিত্তি, ফাইভজিটুবি, উন্নত বিশ্ব গড়ে তুলতে প্রযুক্তি শিল্প ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে ভবিষ্যৎ নির্মাণ- এসব বিষয়ে আলোকপাত করা হবে।

হুয়াওয়ে
হুয়াওয়ে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। সমৃদ্ধ জীবন নিশ্চিতকরণ ও উদ্ভাবনী দক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমে একটি উন্নত ও সংযুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য।

নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে হুয়াওয়ে একটি পরিপূর্ণ আইসিটি সল্যুশন পোর্টফোলিও প্রতিষ্ঠা করেছে, যা গ্রাহকদের টেলিকম ও এন্টারপ্রাইজ নেটওয়ার্ক, ডিভাইস ও ক্লাউড কম্পিউটিংয়ে সুবিধা দেয়। হুয়াওয়ে ১৭০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে সেবা দিচ্ছে, যা বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ জনসংখ্যার সমান। এক লাখ ৯৪ হাজারের বেশি কর্মী নিয়ে বিশ্বব্যাপী টেলিকম অপারেটর, উদ্যোক্তা ও গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করে ভবিষ্যতের তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক সমাজ তৈরির লক্ষ্যে হুয়াওয়ে এগিয়ে চলেছে।

হুয়াওয়ে গত ২১ বছর ধরে বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি শিল্প, টেলিকম অপারেটর ও স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষের কাছে তথ্য-প্রযুক্তির সেবা পৌঁছে দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে অসামান্য ভূমিকা রেখে চলেছে। এছাড়া সিএসআর কর্মসূচীর মাধ্যমে সামাজিক ক্ষেত্রেও অবদান রাখছে হুয়াওয়ে।

ওয়েবসাইট: www.huawei.com
ফেসবুক: https://www.facebook.com/HuaweiTechBD/
টুইটার: http://www.twitter.com/Huawei
ইউটিউব: http://www.youtube.com/Huawei
লিংকডইন: http://www.linkedin.com/company/Huawei

Share.