পর্ষদ সভার সময় ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের প্রতিষ্ঠান সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বিনিয়োগকারীদের এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ১৫ এপ্রিল বেলা ৩টায় সিঙ্গার বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।
৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে সাত টাকা ৮৫ পয়সা ও ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ১৯ পয়সা।
এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯ টাকা আট পয়সা, যা তার আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে ১০ টাকা ৩৫ পয়সা, ৩২ টাকা দুই পয়সা ও ১৩ টাকা ৫৯ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিতে অনুমোদনের জন্য ১৫ এপ্রিল দুপুর ১২টায় অনলাইনে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।
কোম্পানিটির মোট ৯ কোটি ৯৭ লাখ দুই হাজার ৮৩৮টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৫৭ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ১৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী ছয় দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৬ দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড
১৯০৫ সাল থেকে ভারতীয় উপমহাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে সিঙ্গার। তখন ঢাকা ও চট্টগ্রামের স্টোর থেকে নানা ধরণের সেলাই মেশিন বিক্রি করত প্রতিষ্ঠানটি। সাতচল্লিশের পর পূর্ব পাকিস্তানে সিঙ্গারের ১০টি দোকান চালু করা হয়, ষাটের দশকে যা ৪৩টিতে উন্নীত হয়।
স্বাধীনতার পর সিঙ্গার বাংলাদেশ জনপ্রিয় ব্র্যান্ডে পরিণত হয়। ১৯৮৩ সালে সিঙ্গারকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানীতে রূপান্তরিত করা হয়।
গ্রাহকের ছোট স্বপ্নগুলো বাস্তবায়নের জন্য সিঙ্গার পাশে রয়েছে সর্বক্ষণ। ব্যবহারকারীর পরিবারের প্রয়োজন ও বাজেটের কথা চিন্তা করে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সহজ মাসিক কিস্তি সুবিধা দিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশর মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সাহায্য করছে সিঙ্গার। বেষ্ট কোয়ালিটি ও দামের মাধ্যমে মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে প্রতিষ্ঠানটি দায়বদ্ধ। ♦