আন্তর্জাতিক বাজারে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মুদ্রার দাম বেড়েছে। একইসঙ্গে বন্ড মার্কেটে দুই দেশের মুদ্রার চাহিদা বাড়ায় গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ব পুঁজিবাজারের সূচক রেকর্ড সর্বোচ্চ স্থানে অবস্থান করেছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে ২ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের স্টক মার্কেটে উল্লম্ফন দেখা যায়। বাড়তে থাকে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা।
ইরান ও সৌদি আরবের সঙ্গে চীন জ্বালানি তেল সরবরাহসহ নানা ইস্যুতে চুক্তি করেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চীনের মুদ্রা ইউয়ানেরও কদর বাড়তে থাকে। গত প্রান্তিকে দেশটিতে রেকর্ড পণ্য বিক্রি হয়। সার্বিক পরিস্থিতিতে তাই চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের মূল্যমান বাড়ে। এরই কারণে বিশ্ব পুঁজিবাজারে রেকর্ড উচ্চতায় অবস্থান করে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক খবরে জানা গেছে, গত রোববার ইস্টার হলিডে থেকে গতকাল পর্যন্ত সব স্টকে শেয়ারদর বেড়েছে। প্রথমবারের মতো ওয়াল স্ট্রিট, এশিয়ান স্টক ও ইউরোপিয়ান স্টক এক্সচেঞ্জে এমএসসিআই সূচক ৪৯টি দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ সূচকে অবস্থান করেছে গতকাল।
ইউরোপিয়ান স্টক এক্সচেঞ্জ শুরুর পর থেকে গতকাল প্যান-ইউরোপিয়ান এসটিওএক্সএক্স৬০০ সূচক রেকর্ড সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে।
যদিও জাপানের নিক্কিই ১ শতাংশ কমে যায় তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাংহাই স্টকের তুলনায়। এর আগের দিন সোমবার এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক বন্ধ থাকার পর গতকাল মঙ্গলবার শূন্য দশমিক দুই শতাংশ বেড়ে যায়।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সেবা অধিদপ্তর চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে এই প্রান্তিকে দেশটিতে মহামারির মধ্যেও ব্যাপক কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। চীনের সার্ভিস সেক্টরেও দ্রুত গত তিন মাসে ব্যাপক বিক্রি দেখানো হয়। এখানে বেশ প্রবৃদ্ধি উল্লেখ করা হয়। এসব কারণে বিশ্ব পুঁজিবাজারে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে।
ইউএসবি গ্লোবাল হেলথ ম্যানেজমেন্টের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা মার্ক হাইফেলে বলেন, আমরা মনে করি বিনিয়োগকারীরা বাজারের সর্বোচ্চ উচ্চতায়ও বিনিয়োগ করতে ভয় পাবে না। তিনি আরও বলেন, আমরা সব সময় বাজারের এই ইতিবাচক অবস্থার কথা বলি, যাতে মহামারির এই ক্ষতি পুষিয়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের মান গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়েছে। যেখানে ৮৩ পয়েন্ট ভিত্তিতে গত প্রান্তিকে হিসাব করা হয়; যা গত ২০১৮ সাল থেকে তিন দশমিক ছয় শতাংশ বেশি।
ইতোমধ্যে বাইডেন প্রশাসন অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বেশ কয়েক পদক্ষেপ নিয়েছেন। কভিড-১৯ মোকাবিলায় ১ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ ও ঘোষণা করেছেন তিনি। ♦