অমর একুশে গ্রন্থমেলায় লোকজনের উপস্থিতি কমে এসেছে। কভিড-১৯ কেড়ে নিয়েছে মেলা ঘিরে উচ্ছ্বাস, আনন্দ। চোখে পড়ছে চাপা আতঙ্ক। তাই অতীতের মতো জনসমাগম নেই। তবে এতে মেলার সময়সূচীতে কোনো হেরফের হবে না। মেলা নির্ধারিত সময় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।
গতকাল বুধবার বাংলা একাডেমির পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রকাশকরা জানিয়েছেন, এবারের মেলায় তেমন বিক্রি নেই। পাঠক সমাবেশ, উষারদুয়ার প্রকাশনী, অনুপম প্রকাশনী, মাওলা ব্রাদার্সসহ কয়েক প্রকাশনা সংস্থার স্বত্বাধিকারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিক্রি আশাপ্রদ নয়। তিন ভাগের দুই ভাগ বিক্রি কমে গেছে।
অনেক প্রকাশক বলেন, এখন কভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়ছে। আবহাওয়াও মেলার উপযোগী নয়। এ সময় মেলা না করে তারা ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ থেকে করার যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তখন করলে ভালো হতো।
অমর একুশে গ্রন্থমেলা একুশের চেতনার সঙ্গে জড়িত। কারও নির্দেশে সময়মতো এ মেলা হয়নি। সময় পরিবর্তন করায় মেলার প্রতি হৃদয়ের সেই টান অনুভব করেন না তারা।
পর্যালোচনা সভা
গতকাল বিকেল পাঁচটায় বাংলা একাডেমির শহীদ মুনীর চৌধুরী সেমিনার কক্ষে অমর একুশে বইমেলা পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন একাডেমির ভারপ্রাপ্ত সচিব অপরেশ কুমার ব্যানার্জি, মেলার সদস্যসচিব জালাল আহমেদ, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ, নির্বাহী পরিচালক মনিরুল হক, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি শ্যামল পাল ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিরা।
সভায় আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত মেলা চালু রাখার সিদ্ধান্ত পুর্নব্যক্ত করা হয়। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করার প্রতি জোর দেয়া হয়।
বিকাশ পেমেন্টে ক্যাশব্যাক
বইমেলায় ক্রেতারা মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশে পেমেন্ট করলে ১৫ শতাংশ ক্যাশব্যাক পাবেন।
বিকাশ জানিয়েছে, এ অফারের আওতায় মেলা চলাকালে একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ১০০ টাকা ক্যাশব্যাক পেতে পারেন।
শুধু এবারই নয়, ছয় বছর ধরে বইমেলায় ক্যাশব্যাক অফার দিয়ে আসছে বিকাশ। গত ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এ অফার চলবে মেলার শেষ দিন পর্যন্ত।
বইমেলার অধিকাংশ স্টলে বিকাশ অ্যাপে কিউআর কোড স্ক্যান করে, *২৪৭# ডায়াল করে অথবা পেমেন্ট গেটওয় দিয়ে বিকাশ পেমেন্ট করে তাৎক্ষণিক ক্যাশব্যাক পাবেন গ্রাহকরা।
বিকাশ অ্যাকাউন্ট নেই যাদের, তাদের অফার নেয়ার সুবিধা দিতে বইমেলা প্রাঙ্গণে বিকাশের বুথও বসানো হয়েছে। ফলে জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে তাৎক্ষণিক বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলে বই কেনায় ক্যাশব্যাক অফার নিতে পারছেন গ্রাহক।
গ্রাহকদের সুবিধায় মেলা প্রাঙ্গনে রয়েছে ক্যাশইন ও ক্যাশআউটের ব্যবস্থা।
মেলায় আসা দর্শনার্থী ও বিকাশের যৌথ উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য ১৫ হাজার বই বিতরণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
প্রতি সপ্তাহে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের হাতে মেলা প্রাঙ্গনে এসব বই তুলে দেয়া হবে। মেলা শেষে সংগৃহিত বাকি বই দেশের নানা গ্রন্থাগারে বিতরণ করা হবে।
বইমেলায় বিনা খরচে নিরাপদ পানি ও চা-কফির ব্যবস্থা করেছে বিকাশ। এছাড়া যারা হেঁটে মেলায় ঘুরতে পারবেন না, তাদের জন্য হুইল চেয়ারের ব্যবস্থাও করেছে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটি।
বিকাশ
বিকাশ লেনদেনের সবচেয়ে দ্রুত ও নিরাপদ মাধ্যম। বিকাশ গ্রাহককে দিচ্ছে সেন্ড মানি, অ্যাড মানি, পে বিল, মোবাইল রিচার্জ ও পেমেন্টসহ জীবনযাপন সহজ করার সব সেবা। ♦