এভয়েড-রাফা ও গুডিব্রোর মধ্যে সমঝোতা চুক্তি

0

দেশের রক ঘরানার প্রতিষ্ঠিত ব্যান্ড ‘এভয়েড-রাফা’ সঙ্গে দেশীয় শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন ই-কমার্স ব্র্যান্ড গুডিব্রো লিমিটেডের একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এক্সক্লুসিভ মার্চেন্ডাইজ অংশীদার হিসেবে সম্প্রতি এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

‘এভয়েড-রাফা’-র ভোকালিস্ট রায়েফ আল হাসান রাফা ও গুডিব্রোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহ্নাফ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

চুক্তির আওতায় গুডিব্রো প্রাথমিক স্তরে সলিড মেরুন টি-শার্টের উপর একটি বিশেষায়িত নকশা রাফার ফ্যান বেসের একজন চিত্রশিল্পীর কাছ থেকে গ্রহণ করে। সেসঙ্গে চিত্রশিল্পীর কাজের প্রতি যথাযথ সম্মান দেখিয়ে একটি নির্দিষ্ট শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তাছাড়া রিয়েল-টাইম বিক্রয়ের সব তথ্য অত্যাধুনিক ট্র্যাকিং সিস্টেমের মাধ্যমে উভয়পক্ষ প্রতিনিয়ত নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণ করতে পারবে।

যে কোন কাজে স্বচ্ছতা বজায় রাখার উপর গুডিব্রো গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

রায়েফ আল হাসান রাফা বলেন, “আমি ২ বছর ধরে গুডিব্রোর একজন নিয়মিত গ্রাহক। গুডিব্রোর স্বচ্ছতা ও গুণমান নিয়ে আমি খুবই সন্তুষ্ট। তাই বলতে চাই সবার সমর্থন ব্যতীত এই সমঝোতা চুক্তি বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। তাই আমরা অবিচ্ছিন্ন সমর্থন এবং কাজের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

গুডিব্রোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহ্নাফ বলেন, “মানসম্মত ও গুণগত মানকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেয়া আমাদের মূল লক্ষ্য, কেননা ঠিক এ জায়গায়টায় আরও অনেক ব্র্যান্ড উন্নতমান পরিবেশন করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা উৎপাদন থেকে শুরু করে কাস্টমারের ঘর পর্যন্ত পৌঁছে দিতে সর্বদা সচেষ্ট থাকি। গুডিব্রোর শক্তির জায়গাটি হচ্ছে ৩৬০ ডিগ্রি সার্ভিস, যাতে কেবল পণ্যদ্রব্য উৎপাদনই অন্তর্ভুক্ত নয়, পুরো বিপণন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম যতক্ষণ না এটি গ্রাহকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়।”

গুডিব্রোর নির্বাহী কর্মকর্তা তাসমি বলেন, “আমরা গভীর ও উন্নত পরিষেবা এবং উৎপাদনে বিশ্বাসী। আমাদের প্রোডাক্টের যেকোন প্রকার নকল ও প্রতারণা রোধে বধ্যপরিকর এবং প্রয়োজনে যথাযথ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গুডিব্রোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইব্রাহিম কামরুল শাফিন, গুডিব্রোর বিপণন ও যোগাযোগ পরিচালক স্মরণ রহমানসহ অন্যরা।

এভয়েড-রাফা
রায়েফ আল হাসান, রাফা নামেই এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ব্যন্ডজগতে গড়ে তুলেছে তার নিজস্ব পরিচয়। ‘আনমনে’ গানটির ছোঁয়ায় ভেসে যায়নি এমন তরুণ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।

অনেকের কাছে তিনি নতুন প্রজন্মের রক আইকন।

তিনি অর্থহীন ও ক্রিপটিক ফেইটের মত প্রথম সারির ব্যান্ড থেকে শুরু করে বাজিয়েছেন ক্রাল, দ্য জয়েন্ট ফ্যামিলি ও সেভেয়ার ডেমেনশিয়ার মত বড় ব্যান্ডে। এর মাঝে ‘অর্থহীন’ ব্যান্ডে ছিলেন ১২ বছর। ‘অর্থহীন’ ব্যান্ডের ড্রামার হিসেবে তিনি যোগ দেন ২০০৩ সালে।

গান গাওয়ার পাশাপাশি কম্পোজ, লেখা, নানা ইন্সট্রুমেন্ট বাজানো, সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি কাজ করেন তিনি।

Share.