ঢাবিতে শুরু, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আবেদন ১ এপ্রিল

0

গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার জন্য ১ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক আবেদন করতে পারবেন। পরীক্ষা শুরু হবে ১৯ জুন। যেসব শিক্ষার্থীর ন্যূনতম যোগ্যতা থাকবে তারা সবাই প্রাথমিক আবেদন করতে পারবেন।

গতকাল সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত উপাচার্যদের সমন্বয়ের গঠিত কোর কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সভা সূত্রে জানা যায়, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় প্রাথমিক আবেদনে শিক্ষার্থীদের কোনো ফি দিতে হবে না। যে শিক্ষার্থীরা ২০১৯ বা ২০২০ সালে এইচএসসি/আলিম ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ তারা আবেদন করতে পারবেন।

ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীর বিজ্ঞান শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৮.০, বাণিজ্য শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৭.৫ ও মানবিক শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৭.০ থাকতে হবে। তবে সব শাখায় এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় নূন্যতম জিপিএ ৩.৫ থাকতে হবে।

শুধু চলতি বছরের জন্য গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯ ও ২০২০ সালে এইচএসসি পাসকরা শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। আগামী বছর থেকে পূর্ববর্তী বছরের পাসকরা অর্থাৎ সেকেন্ড টাইমার শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন না। প্রাথমিক আবেদনকারীদের মধ্য থেকে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য যোগ্য শিক্ষার্থীদের ফল ২৩ এপ্রিল স্বয়ক্রিয়ভাবে মেসেজ দিয়ে জানানো হবে।

গুচ্ছভুক্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় একযোগে যত শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়ার সুযোগ রয়েছে মেধার ভিত্তিতে তত শিক্ষার্থীকে চূড়ান্ত আবেদন করার সুযোগ দেয়া হবে। প্রাথমিকভাবে বাছাইকরা শিক্ষার্থীদের মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে পাঁচশ টাকা জমা দিয়ে ২৪ এপ্রিল থেকে ২০ মে তারিখের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য চূড়ান্ত আবেদন করতে হবে।

সব পরীক্ষা নির্দিষ্ট কেন্দ্রে একযোগে বেলা ১২টায় শুরু হবে। একজন শিক্ষার্থী কমপক্ষে পাঁচ কেন্দ্র নির্বাচন/চয়েজ করতে পারবেন। ২০১৯ সালের পাসকরা শিক্ষার্থীরা বর্তমানে অধ্যয়নরত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘কেন্দ্র’ হিসেবে চয়েজ বা পছন্দ করতে পারবেন না। প্রয়োজনে চয়েজকরা নির্দিষ্ট কেন্দ্রের বাইরেও পরীক্ষা দিতে হতে পারে। আবেদনকারীরা ১ থেকে ১০ জুনের মধ্যে প্রবেশ পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।

ভর্তি পরীক্ষার বিস্তারিত তথ্য ভর্তি সংশ্লিষ্ট ওয়েব সাইট ও জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হবে।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ মার্চ) বিকেল ৫টায় প্রশাসনিক ভবনের কেন্দ্রীয় ভর্তি অফিসে (কক্ষ ২১৪) আনুষ্ঠানিকভাবে অনলাইনে ভর্তির আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

৩১ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে এ আবেদন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। এবার প্রতি ইউনিটের জন্য আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫০ টাকা।

ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ক- ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২১ মে, খ- ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২২ মে, গ- ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ মে, ঘ- ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৮ মে ও চ- ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান) ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ইউনিটের পরীক্ষা ঢাকাসহ আট বিভাগীয় শহরে সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

এবারের ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের ন্যূনতম শর্ত বাড়ানো হয়েছে। ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীদের ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ‘ক’ ইউনিটের জন্য মাধ্যমিক ও সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএর যোগফল ন্যূনতম ৮ দশমিক ৫ (আলাদাভাবে জিপিএ ৩ দশমিক ৫), ‘খ’ ইউনিটের জন্য জিপিএর যোগফল ন্যূনতম ৮ (আলাদাভাবে ৩), ‘গ’ ইউনিটের জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮ ( আলাদাভাবে ৩ দশমিক ৫), ‘ঘ’ ইউনিটের জন্য মানবিক শাখার ক্ষেত্রে জিপিএর যোগফল ন্যূনতম ৮ (আলাদাভাবে ৩) ও বিজ্ঞান শাখার ক্ষেত্রে জিপিএর যোগফল ন্যূনতম ৮ দশমিক ৫ (আলাদাভাবে ৩ দশমিক ৫) এবং ‘চ’ ইউনিটের জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৭ (আলাদাভাবে জিপিএ ৩) থাকতে হবে।

ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ‘ক’, ‘খ’, ‘গ’ ও ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের এমসিকিউ ও ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শুধু ‘চ’ ইউনিটের পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের এমসিকিউ ও ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‘ক’, ‘খ’, ‘গ’ ও ‘ঘ’ ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট ও লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ‘চ’ ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট ও লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

সাধারণ তথ্য
১) ভর্তির আবেদনের জন্য শিক্ষার্থীর উচ্চমাধ্যমিক এবং মাধ্যমিকের তথ্য, বর্তমান ঠিকানা ও মোবাইল ফোন নম্বর, পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (ঐচ্ছিক)-এর প্রয়োজন পড়বে।

২) শিক্ষার্থীকে ৮টি বিভাগীয় শহরের যেকোন ১টিকে তার ভর্তি কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচন করতে হবে।

৩) স্ক্যান করা একটি ছবির (Format: jpg, Size: 30 – 200KB, Width: 360-540px, Height: 540-720px) প্রয়োজন পড়বে।

৪) SMS করার জন্য শিক্ষার্থীর কাজে টেলিটক, রবি, এয়ারটেল অথবা বাংলালিংক অপারেটরের একটি ফোন নম্বর থাকতে হবে।

৫) ভর্তির আবেদন ফি তাৎক্ষণিক অনলাইনে (VISA/Mastercard/ American Express ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং, ইন্টারনেট ব্যাংকিং) বা চারটি রাস্ট্রায়ত্ব ব্যাংকে (সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী) নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে জমা দেয়া যাবে।

Share.