ইউএইতে বিএসইসির ক্যাপিটাল মার্কেটস রোডশো

0

বিদেশী ও প্রবাসীদের কাছে বিনিয়োগের সম্ভাবনা তুলে ধরে দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও দুবাইয়ে ‘ক্যাপিটাল মার্কেটস রোডশো’ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

প্রতিষ্ঠার ২৭ বছরে উপনীত হলেও বিদেশি ও প্রবাসীদের পুঁজিবাজারে টানতে এবারই প্রথম এমন উদ্যোগ নিচ্ছে বিএসইসি। বাংলাদেশের পুঁজিবাজার সম্পর্কে দেশের বাইরে ব্যাপকভাবে তুলে ধরে বিনেয়াগে উৎসাহিত করার উদ্যোগ এর আগে নেয়া হয়নি।

৯ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি সংযুক্ত আরব আমিরাত ও দুবাইয়ে ‘ক্যাপিটাল মার্কেটস রোডশো’ করবে বিএসইসি। ‘রাইজিং অব দি বেঙ্গাল টাইগার: পটেনশিয়ালস অব বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেটস’ শীর্ষক রোডশোতে নতুন পণ্য চালু ও সম্ভাবনা বিদেশী বিনিয়োগকারী ও এনআরবিদের কাছে তুলে ধরবে কমিশন।

সাধারণত কোনো কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে মূলধন উত্তোলন করতে রোড শোয়ের আয়োজন করে। কোনো প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম জনসম্মুখে আসার আগে সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে সে প্রতিষ্ঠানের আয়োজিত প্রচারই রোডশো। এখানে কোনো প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম শুরু করার আগে, প্রতিষ্ঠানটিতে বিনিয়োগের সুযোগ ও সম্ভাবনা সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের সামনে তুলে ধরে। এ অভিজ্ঞতা সম্বল করে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা, সম্ভাবনা ও নতুন পণ্য সম্পর্কে অবগত করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি ‘ক্যাপিটাল মার্কেটস রোডশো’ আয়োজন করছে।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, পুঁজিবাজারে এনআরবি ও বিদেশীদের বিনিয়োগ থাকলেও তা তুলনামূলক কম। কাজেই এখন এ বিনিয়োগ বাড়ানো গেলে পুঁজিবাজারের গভীরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি গতিশীলতাও বাড়বে বলে মনে করছেন তারা। বর্তমান পুঁজিবাজারে শেয়ার কেনাবেচায় যে বেনেফিসিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট (বিও) রয়েছে, তার ৬ শতাংশ এনআরবি ও বিদেশীদের। এ হিসেবে ৯৪ শতাংশ দেশীয় বিনিয়োগকারীর, যার মধ্যে ব্যক্তিগত অ্যকাউন্টই বেশি।

পুঁজিবাজারে বিদেশিদের বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ সহজে বিনিয়োগের জন্য কমিশন সম্প্রতি ডিজিটাল বুথ খোলার বিষয়ে নীতিমালা জারি করেছে। ডিজিটাল বুথ খোলা শুরু হলে এনআরবিসহ বিদেশীরা সহজে দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবে। এতে করে পুঁজিবাজারে বিদেশী অর্থপ্রবাহ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিদেশে অবস্থানরত নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশিদের (এনআরবি) পাঠানো রেমিটেন্স বিনিয়োগে রূপান্তর করতে চায় কমিশন, সে ক্ষেত্রে পুঁজিবাজার হতে পারে ভালো জায়গা। প্রবাসীদের অর্জিত অর্থ বিনিয়োগে রূপান্তর করা গেলে তাদের আয়ের উৎস বাড়বে। কমিশন এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে।

২০১৯ সালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে কৌশলগত অংশীদার হিসেবে বিনিয়োগ করেছে চীনের সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ ও শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ। কৌশলগত অংশীদার হিসাবে পাওয়ার পর ডিএসই চীনের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ পরিদর্শন করেছে।

Share.