যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা নাসা সম্প্রতি তাদের ওয়েবসাইটে “নাসা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২০” ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নদের তালিকা প্রকাশ করেছে। বিশ্বের ১৫০ দেশের ৩৮০০ প্রজেক্টের মধ্যে বাংলাদেশের টিম “বুয়েট জেনিথ” অনারেবল মেনশন্স ক্যাটাগরিতে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
মহাকাশে কোন স্যাটেলাইট কোথায় অবস্থা করছে- এসব তথ্য সংগ্রহ করে খুব সহজে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়াই হলো বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় দল “বুয়েট জেনিথ”-এর মূল কাজ।
টানা ৬ষ্ঠ বারের মতো বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) তত্ত্বাবধানে এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় বাংলাদেশ।
এর আগে বেসিস বড় পরিসরে দেশের নয় শহরে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। সংস্থাটি এখান থেকে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ও রানার্স আপ দলের ১৭ প্রজেক্ট নাসায় জমা দেয়। এর মধ্যে চূড়ান্ত পর্বের ঢাকা জেলার টিম “বুয়েট জেনিথ” ও বরিশাল জেলার টিম “ভ্যাকপিকার” গ্লোবাল ফাইনালিস্ট ৪০ টিমে স্থান পায়।
বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, ২০১৮ সালের মত আবারো নাসা স্পেস অ্যাপস প্রতিযোগিতায় আবারোও বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় দল “বুয়েট জেনিথ”। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। বাংলাদেশের তরুণরা এ ভাবে দেশকে বারবার বিশ্বের দরবারে সম্মানজনক স্থানে তুলে ধরবে বলে আমার বিশ্বাস।
প্রসঙ্গত এর আগে ২০১৮ সালে নাসা থেকে বেস্ট ডেটা ইউজার ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ।
বেসিসের পরিচালক ও চ্যালেঞ্জের আহবায়ক দিদারুল আলম বলেন, প্রতিবারের মতো এবারো বেসিসের তত্ত্বাবধানে নাসায় আমাদের দেশের ১৭ প্রজেক্ট জমা দিয়েছিলাম। এর মধ্যে “অনারেবল মেনশন” ক্যাটাগরিতে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন হয়েছে “বুয়েট জেনিথ”, যা আমাদের দেশের জন্য খুবই গর্বের। এ ছাড়া আমাদের দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তার প্রমাণও বলা যেতে পারে এটি।
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের উপদেষ্টা আরিফুল হাসান অপু বলেন, এ অর্জন আমাদের জন্য গৌরবের, আমরা বিশ্বাস ও প্রত্যাশা করি, সাফল্যের এ ধারা অব্যাহত থাকবে। আবারো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবো।
“বুয়েট জেনিথ”-এর সদস্যরা হলেন মো. মেহরাব হক, রাবিব জাহিন, মো. জেহাদুল করিম, হাসান মাসুম, মো. তামিমুল ইহসান ও ফাবিহা তাসনিম। মেহরাব হক বলেন, আমরা মূলত নাসার তথ্য ব্যবহার করে স্যোসাল প্ল্যাটফর্মে মানুষের সঙ্গে স্যাটেলাইটের সংযোগ বাড়াতে কাজ করেছি।
২০১২ সাল থেকে বিশ্বের নানা টিম পৃথিবী ও মহাকাশের নানা সমস্যা সমাধানে নাসার উন্মুক্ত ডেটা নিয়ে কাজ করছে। সে থেকে বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে নাসার গ্লোবাল অর্গানাইজিং টিমের সহায়তায় বিশ্বজুড়ে শত শত রিজিওনাল শীর্ষস্থানীয়রা ইভেন্টের আয়োজন করে।
২০২০ সালের চ্যালেঞ্জে অনারেবল মেনশন্স ক্যাটাগরিতে অন্য বিজয়ীরা হলেন- অ্যাপুলাস্টার ১২, অ্যাটম জেড, স্পেস বন্ডস, স্প্যাটিয়াম, সিম্বিওসিস ও টেক ফুটপ্রিন্ট। ♦