কানাডার স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক তাদের ওয়েবসাইটে এক পোস্টে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার ও জার্মানির বায়োএনটেকের তৈরি টিকার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। টিকাটির নাম ‘বিএনটি১৬২বি২’।
যুক্তরাজ্য ও বাহরাইনের পর ফাইজারের কোভিড-১৯ টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে কানাডা। যুক্তরাষ্ট্রে সম্ভাব্য অনুমোদনের কয়েকদিন আগে বুধবার এ অনুমোদন আসল।
কানাডার স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রকের প্রধান স্বাস্থ্য পরামর্শক ডা. সুপ্রিয়া শর্মা বলেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।’ তিনি বলেছেন, ‘কানাডার নাগরিকরা আমাদের তীক্ষ্ণ পর্যালোচনা প্রক্রিয়ায় আস্থা রাখতে পারেন। টিকাটির সুরক্ষা, কার্যকারিতা ও মানদণ্ড নিখুঁত নিরীক্ষায় প্রমাণিত হওয়ার পরই এর অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’
স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, অনুমোদনের শর্ত হিসেবে প্রস্তুতকারককে টিকার সুরক্ষা, কার্যকারিতা ও গুণগতমান সম্পর্কে তথ্য সরবরাহের বিষয়টি অব্যাহত রাখতে হবে।
এ মাসে ২ লাখ ৪৯ হাজার ডোজ নেবে কানাডা।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ইংল্যান্ড গত মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) ফাইজার ও বায়োএনটেকের টিকাটির প্রয়োগ শুরু করেছে।
বিএনটি১৬২বি২
‘বিএনটি১৬২বি২’র ক্ষেত্রে একেবারে ভিন্ন ধরনের একটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে মানবদেহের রোগ প্রতিরোধীব্যবস্থাকে প্রশিক্ষিত করে তোলার জন্য ভাইরাসটির জেনেটিক কোড শরীরে ইনজেক্ট করা হয়।
এ টিকা দেওয়ার ফলে মানবদেহে অ্যান্টিবডি ও রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার আরও একটি অংশ, যা টি সেল নামে পরিচিত সেটিও তৈরি হয়।
তিন সপ্তাহ ব্যবধানে টিকাটির দুটো ডোজ দিতে হয়। পরীক্ষায় দেখা গেছে, দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার সাত দিন পর ভাইরাসটি প্রতিরোধে মানবদেহে ৯০ শতাংশ সক্ষমতা তৈরি হয়।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৯৫ শতাংশ সক্ষম এ টিকাটি যেসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দশকের বেশি সময় লেগে যায়, সেখানে মাত্র ১০ মাসে আবিষ্কারের প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হলো।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকার প্রয়োগ শুরু হলেও মানুষজনকে এখনো সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে ও করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, হাত ধোয়া ও মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সে সঙ্গে উপসর্গ দেখা গেলে পরীক্ষা করাতে হবে, বিচ্ছিন্ন থাকতে হবে। ♦