গ্রামীণফোনের প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ

0

পুঁজিবাজার ডেস্ক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিকম খাতের কোম্পানি গ্রামীণফোন লিমিটেড চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ সময়ে কোম্পানিটি ১ হাজার ৭ কোটি টাকা নীট মুনাফা করেছে।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৯২ পয়সা আয় হয়েছে।

এ সময়ে বিভিন্ন পণ্য ও সেবা বিক্রি থেকে গ্রামীণফোনের মোট আয় হয়েছে ৩ হাজার ৬২০ কোটি,যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।

প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির মোট গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৫৩ লাখ। এর মধ্যে ৫৩ দশমিক ৬ শতাংশ তথা ৪ কোটি ৪ লাখ গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। প্রথম প্রান্তিকে ইন্টারনেট থেকে রাজস্ব গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে আমরা ধারাবাহিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছি। মার্চ পর্যন্ত এনওসি অনুমোদনের উপর নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিধিনিষেধ থাকায় আমরা পরিকল্পিত বিনিয়োগ করতে পারিনি। অন্যদিকে প্রথম প্রান্তিকের শুরু থেকে আমাদের নাম্বার সংকট দেখা দিয়েছিল যেটি মোট গ্রাহকের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তবে চমৎকারভাবে বাজার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং নেটওয়ার্কে আমাদের শক্তিশালী অবস্থান ধরে রাখার মাধ্যমে আমরা ব্যবসায়িক সাফল্য অজর্ন করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় প্রথম প্রান্তিকের শেষে ফোরজি গ্রাহক সংখ্যা দাড়িয়েছে ১কোটি ৪২ লাখ।

ইয়াসির আজমান বলেন, বাংলাদেশে কভিড-১৯ এর কঠিন পরিস্থিতে আমাদের পার্টনার,আইনশৃংখলাবাহীনি, প্রশাসন ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় আমরা গ্রাহক সেবায় সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। একই সাথে এই কঠিন সময়ে আমরা সামাজিকভাবে আমাদের অবদান নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সরকারী, বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে একত্রিত হয়ে আমরা আমাদের প্রযুক্তি দক্ষতা দিয়ে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সচেতনেতামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছি এবং একই সাথে ডেটা এনালাইসিসি ব্যবহার করে করোনা ভাইরাসের বিস্তার নিরুপনে ম্যাপিংয়ে সহায়তা করছি।

তিনি আরও বলেন,করোনা মোকাবেলায় সম্মুখযোদ্ধাদের জন্য আমরা ৫০ হাজার মেডিক্যাল গ্রেড প্রফেশনাল পিপিই এবং পরীক্ষার জন্য ১০ হাজার পিসিআর টেস্টিং কিট বিতরনের উদ্যোগ নিয়েছি।

ইয়াসির আজমান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আমরা এনওসির অনুমোদন পাওয়া শুরু করেছি। আমরা আশা করি সামনের দিনগুলো আমাদের গ্রাহক সেবার মান আরও উন্নত করতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

গ্রামীণফোনের সিএফও ইয়েন্স বেকার বলেন, প্রথম প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের প্রবৃদ্ধি কমেছে। আমাদের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারনে চ্যালেঞ্জ থাকা সত্বেও আমরা ইন্টারনেটে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশের বির্নিমানের অংশীদার হিসাবে আমরা আমাদের বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবো।

তিনি জানান, প্রথম প্রান্তিকে গ্রামীণফোন নেটওয়ার্ক উন্নয়নে ৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। প্রথম প্রান্তিকে নেটওর্য়াক আধুনিকায়নের পাশাপাশি ১৯৭টি নতুন ফোরজি সাইট করা হয়েছে।মার্চ পর্যন্ত গ্রামীণফোনের মোট নেটওয়ার্কসাইটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৫৪২। ভ্যাট,ফোরজি লাইসেন্স ফি,স্পেকটার্ম এ্যাসাইনমেন্ট ফি,ডিউটি ও ফিস বাবদ প্রথম প্রান্তিকে সরকারী কোষাগারে ২ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা প্রদান করেছে, যা মোট আয়ের ৬৮ শতাংশ।

Share.