মানিকগঞ্জে ইভ্যালির কোন শাখা নেই, এমনকি বাংলাদেশের কোথাও এ ধরনের শাখা কার্যক্রম নেই। বাংলাদেশে ইভ্যালির একটিই কার্যালয়, যা রাজধানীর ধানমন্ডির ১৪ নম্বর সড়কে অবস্থিত।
ইভ্যালির নামে প্রতিষ্ঠান খুলে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করছে এমন অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর প্রকাশ হয়েছে। খবরে মানিকগঞ্জের সিংগাইরের ইউএনও রুনা লায়লার বরাত দিয়ে বলা হয়, ‘ইভ্যালি’ নামের ওই প্রতিষ্ঠান বলধরা এলাকার পারিল বাজারে একটি অফিস নির্মাণ করে। তারা বেশি মুনাফার প্রলোভন ও নানা পণ্যের আকর্ষণীয় অফার দিয়ে পণ্য বিক্রি করে। কিন্তু চাহিদাকৃত পণ্য সময় মতো না দিয়ে গ্রাহকের সঙ্গে বেশ কয়েক মাস ধরে প্রতারণা করে আসছে। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোমবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয় থেকে নগদ ৩৮ লাখ ৮৯ হাজার তিনশ টাকাসহ দুজনকে আটক করেছে।
ইভ্যালি বলছে, ইভ্যালির ‘শাখা ম্যানেজার’ পদবীধারী ব্যক্তিসহ আরো যে দুজন ব্যক্তিকে আটকের তথ্য সংবাদে দেওয়া হয়েছে তারা কেউই ইভ্যালির সঙ্গে কোনভাবে সম্পৃক্ত না। তারা ইভ্যালির কোন পর্যায়ের কর্মকর্তা নন।
আটককৃতদের কাছ থেকে ইভ্যালি কর্তৃপক্ষের ইস্যু করা কোন বৈধ নিয়োগপত্র পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ইভ্যালির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আপাতদৃষ্টিতে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, ইভ্যালির প্রাতিষ্ঠানিক সুনাম ব্যবহার করে তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চেয়েছে মাত্র। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, পুরো বিষয়টির সঙ্গে ইভ্যালির কোন ধরনের যোগসূত্র বা সম্পৃক্ততা নেই। ইভ্যালির মতো একটি দেশীয় স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নষ্ট করাও এ ধরনের অপরাধের পেছনে উদ্দেশ্য হিসেবে থাকতে পারে।
‘এই ধরনের কাজের’ তীব্র নিন্দা জানিয়ে ‘চক্রটিকে’ আইনের আওতায় আনার জন্য ধন্যবাদও জানিয়েছে ইভ্যালি।
পাঠকের সুবিধায় ইভ্যালি কর্তৃপক্ষের বক্তব্য হুবহু তুলে ধরা হলো:
“মানিকগঞ্জে অবস্থিত ইভ্যালির একটি শাখা থেকে গ্রাহকদের সাথে প্রতারনা করে আসছিল একটি চক্র। এদের সাথে মূল অভিযুক্ত ইভ্যালির মানিকগঞ্জ শাখা ব্যবস্থাপক”। উক্ত সংবাদের বিষয়ে ইভ্যালি কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নিম্নরূপ-
“ইভ্যালির ‘মানিকগঞ্জ শাখা’ বলতে আমাদের ইভ্যালির কোন শাখা নেই, এ ধরনের কোন শাখার কার্যক্রম নেই। বাংলাদেশে ইভ্যালির একটি কার্যালয় আর সেটি হচ্ছে রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডির ১৪ নম্বর সড়কে অবস্থিত অফিস। একই সাথে উল্লেখ থাকছে যে, ইভ্যালির ‘শাখা ম্যানেজার’ পদবীয় ব্যক্তিসহ আরও যে দুই জন ব্যক্তিকে আটকের তথ্য সংবাদে দেওয়া হয়েছে তারা কেউই ইভ্যালির সাথে কোনভাবে সম্পৃক্ত না। তারা ইভ্যালির কোন পর্যায়ের কর্মকর্তা নন। আটককৃতদের কাছ থেকে ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত কোন বৈধ নিয়োগপত্র পাওয়া যাবে না বলে আমাদের বিশ্বাস। আপাতদৃষ্টিতে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, তারা ইভ্যালির প্রাতিষ্ঠানিক সুনাম ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চেয়েছে মাত্র। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, পুরো বিষয়টির সাথে ইভ্যালির কোন ধরনের যোগসূত্র বা সম্পৃক্ততা নেই। ইভ্যালির মতো একটি দেশিয় স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নষ্ট করাও এধরনের অপরাধের পেছনে উদ্দেশ্য হিসেবে থাকতে পারে। আমরা এই ধরনের কাজের তীব্র নিন্দা জানাই এবং স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি সাধুবাদ জানাই যে তারা এমন একটি অপরাধী চক্রকে আইনের আওতায় এনেছেন। পুরো বিষয়টি ব্যাখ্যা করে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকেও একটি বিবৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান আছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাই যেন সচেতন থাকেন এবং বিভ্রান্ত না হন আমরা সেই আশাবাদ ব্যক্ত করছি”। ♦