করোনা নির্বাসনের পর পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ (ডিপিএল) দিয়ে ফের ক্রিকেট মাঠে নামাতে চায় ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মট্রোপলিস (সিসিডিএম)। ম্যাচের জন্য তাদের প্রস্তাবনায় রয়েছে দুটি ভেন্যু- বিকেএসপি অথবা কক্সবাজার।
করোনা মাহামারি ছড়িয়ে পড়ার আগে ডিপিএলে মাত্র দুই রাউন্ড খেলার আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে। দেশের বেশীরভাগ ক্রিকেটারের অন্যতম আয়ের উৎস ডিপিএল। যে কারণে খেলোয়াড়রা মনে প্রানে চাইছেন, এ টুর্নামেন্টটি যেন শুরু হয়।
তবে এটি শুরুর আগে অবশ্যই পর্যালোচনা করা হবে করোনা পরিস্থিতি। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশ সীমিত পরিসরে শুরু করেছে ক্রিকেটিং কর্মকান্ড।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও সিসিডিএমও ক্রিকেট শুরুর বিষয়ে ইতিবাচক। সে লক্ষে দেশের ভেন্যুগুলোকে প্রস্তুত করতে শুরু করেছে।
সিসিডিএমের চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ বিরাজমান পরিস্থিতিতে বিকেএসপির দুটি ভেন্যু কিংবা কক্সবাজারে লীগের ম্যাচগুলো আয়োজন করার পক্ষে। কারণ সেখানেই কেবল কঠোর আইসোলেশনের মধ্যে খেলোয়াড়দের রাখার সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশের পেশাদার ক্রিকেটারদের সংগঠন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের (কোয়াব) একটি বৈঠকে যোগদানের পর এমন মন্তব্য করেছেন ইনাম আহমেদ। তিনি বলেন, আমি ছাড়াও দেশের প্রথম শ্রেনীর ও জাতীয় দলের বেশ ক’জন ক্রিকেটার ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ডিপিএল ফের শুরুর সম্ভাবনা নিয়েও আমরা কথা বলেছি। তবে এই মুহুর্তে তারিখ নির্ধারন করা সম্ভব নয়। আমরা চাই ডিপিএলের ক্লাবগুলো অন্তত ভর্চুয়ালি ভাবে হলেও যেন খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে। এর মাধ্যমে খেলোয়াড়দের ফিটনেস ধরে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে ১৫ দিনের সংক্ষিপ্ত নোটিশেই খেলা শুরুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে ক্লাবগুলোকে।
তিনি বলেন, আমার মতে বিকেএসপি বা কক্সবাজার হবে বর্তমান পরিস্থিতিতে খেলা চালানোর জন্য উপযুক্ত ভেন্যু। কারণ এই দুটি স্থানেই কেবল খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের কঠিন ভাবে আইসোলেশনসহ আবাসনের সুযোগ আছে।
করোনা পরিস্থÍতির উন্নতি হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ডিপিএলকেই প্রাধান্য দেয়া হবে বলে খেলোয়াড়দের আশ্বস্ত করেন ইনাম আহমেদ। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি ডিপিএল দিয়েই দেশে শুরু হবে ক্রিকেট। বিসিবি সভাপতিও বিভিন্ন বৈঠকে এমনটি জানিয়েছেন। ♦
