বিশ্ব ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন তার অভিবাসন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত ৬০ দিনের জন্য কার্যকর হবে। এবং যারা স্থায়ীভাবে অভিবাসনের জন্য আবেদন করেছেন শুধু তাদের ক্ষেত্রে বলবৎ হবে। খবর বিবিসি’র।
টুইট করে এই সিদ্ধান্ত জানানোর পরদিন মি. ট্রাম্প বলেন, এই পদক্ষেপ নেয়ার ফলে করোনাভাইরাস মহামারিতে তৈরি হওয়া সঙ্কটে আমেরিকান নাগরিকদের কর্মসংস্থান সুরক্ষিত থাকবে।
অস্থায়ী ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত থাকা ব্যক্তিদের ওপর এই সিদ্ধান্তের কোনো প্রভাব পড়বে না।
সমালোচকদের মতে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ ওঠায় এখন অন্যদিকে মনোযোগ সরিয়ে নিতে চাচ্ছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ এ প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ মারা গেছে।
হোয়াইট হাউজে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় মি. ট্রাম্প জানান সিদ্ধান্তের নির্বাহী আদেশ বুধবারে স্বাক্ষর করা হতে পারে এবং মার্কিন অর্থনীতির গতিবিধির হিসেবে এই নিষেধাজ্ঞা ‘বেশ দীর্ঘায়িত’ হতে পারে।
সোমবার রাতে ‘সব ধরণের অভিবাসন’ বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করলেও পরে কয়েকজন ব্যবসায়ী নেতার সমালোচনার শিকার হয়ে খামারের শ্রমিক, হাই টেক কারখানার কর্মীদের মত কিছু বিশেষ খাতের অভিবাসী শ্রমিকদের নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কী বলেছেন?
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে ২ কোটির বেশি অ্যামেরিকান তাদের চাকরি হারিয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট বলেছেন তারা যেন তাদের কর্মসংস্থান ফিরে পায়, তা নিশ্চিত করা সরকারের ‘পবিত্র দায়িত্ব।’
“ভাইরাসের কারণে চাকরি হারানো অ্যামেরিকানদের জায়গায় যদি বিদেশি অভিবাসী শ্রমিকরা কাজ পায়, তাহলে তা অ্যামেরিকানদের প্রতি অন্যায় হবে।”
তিনি বলেন, “আমরা মার্কিন কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চাই এবং আমি মনে করি ভবিষ্যতে আমরা তাদের সুরক্ষার প্রতি আরো বেশি জোর দেব।”
তবে প্রেসিডেন্টের এই আদেশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা তৈরি হতে পারে।
প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছে?
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইমিগ্রেশন ফোরামের সদস্য আলী নুরানি টুইটারে লিখেছেন: “যুক্তরাষ্ট্রে স্বাস্থ্যসেবা খাতের ১৭% কর্মী এবং সরাসরি সেবা খাতের ২৪% কর্মী অভিবাসী।”
যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন কাউন্সিল টুইট করেছে: “করোনাভাইরাসে অ্যামেরিকায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ মারা যাওয়ার বিষয়টি থেকে আমাদের মনোযোগ বিচ্ছিন্ন করছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কার্যক্রম।”