সঠিক পথে শান্তা সিকিউরিটিজ

0

বমূল্যায়িত পুঁজিবাজারেও অনেক ব্রোকারেজ হাউজ থেকে কৃত্রিম বিক্রির চাপ দিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম শান্তা সিকিউরিটিজ। এ হাউজটি থেকে নিয়মিত বিনিয়োগ করা হচ্ছে।

করোনাভাইরাসের কারনে পুঁজিবাজারে যতটা পতন হওয়ার কথা, তার চেয়ে বেশি তলানিতে চলে গেছে। এছাড়া বিশ্ব পুঁজিবাজার করোনাভাইরাস থেকে ঘুরেও দাড়িঁয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে এখনো একটি চক্রের বিশাল বিক্রির চাপ রয়েছে, যা পুরো পুঁজিবাজারে আতঙ্ক তৈরী করে রেখেছে। এ পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক হতে পারছে না পুঁজিবাজার।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, এখন অনেক কোম্পানির শেয়ার বিনিয়োগ করার মতো অবস্থায় রয়েছে। যেসব কোম্পানির শেয়ার যোগ্যতার তুলনায় অনেক নিচে অবস্থান করছে। যেখানে এ মুহূর্তে বিনয়োগ করে লাভবান হওয়া যাবে। হয়তো এ সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছেন কেউ কেউ। আর এটাই হলো বিনিয়োগকারীর যোগ্যতা।

গত ১০ কার্যদিবসের (৭ থেকে ১৮ জুন) মধ্যে ৮ কার্যদিবসই শেয়ার কেনায় শীর্ষ দশে ছিল শান্তা সিকিউরিটিজ। এর মধ্যে ৩ কার্যদিবস নিট বিনিয়োগে শীর্ষে ছিল। ওই ৮ কার্যদিবসে হাউজটি (ডিলার ও গ্রাহক হিসাব) থেকে নিট ২৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকার বিনিয়োগ করা হয়েছে।

শান্তা সিকিউরিটিজ থেকে ওই ৮ কার্যদিবসে বিক্রির পরিমাণ ছিল ক্রয়ের তুলনায় মাত্র ৯.৯৩ শতাংশ। এ সময় হাউজটি থেকে ২৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট কেনা হয়েছে। এর বিপরীতে বিক্রি করা হয়েছে মাত্র ২ কোটি ৭৩ লাখ টাকার।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এমন কিছু খাত আছে, যেখানে করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েনি। বরং ব্যবসায় আরও উন্নতি হয়েছে। বিশেষ করে ওষুধ খাত রয়েছে এ তালিকায়। তারপরেও বিনিয়োগকারীরা কোন কিছু চিন্তাভাবনা না করেই আতঙ্কিত হয়ে অন্যসব খাতের ন্যায় ওষুধ খাতের শেয়ারেও বিক্রির চাপ অব্যাহত রেখেছে।

Share.