বিশ্ব ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ সরকার করোনার গতিপ্রকৃতির খবর জানতে সোমবার থেকে রাজ্যব্যাপী শুরু করছে করোনার দুটি পরীক্ষা। একটি র্যা পিড টেস্ট বা র্যা পিড অ্যান্টিবডি টেস্ট। অন্যটি পুল টেস্ট। গতকাল রোববার পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দপ্তর এ–সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করে।
ভারতের মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট ও দিল্লিতে করোনা ব্যাপকভাবে ছড়ালেও পশ্চিমবঙ্গে ভাইরাসটি সেভাবে ক্ষতি করতে পারেনি। এ রাজ্যে আক্রান্ত ও মৃত মানুষের সংখ্যা অনেকটাই কম। এর মূলে রয়েছে এই রাজ্যে কঠোরভাবে লকডাউন কার্যকর করা। এই রাজ্যের করোনার সর্বশেষ আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা হলো আক্রান্ত ৩১০ জন ও মৃত্যু ১২।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যেখানে করোনা সক্রমণ বেশি ছড়িয়েছে এবং যে এলাকায় বেশি নজরদারি চলছে, সেখানেই করা হবে করোনা র্যা পিড অ্যান্টিবডি টেস্ট। এতে দ্রুত জানা যাবে করোনার গতিপ্রকৃতি । অন্যদিকে এই টেস্ট কিটের অপচয়ও রোধ করা যাবে। এই টেস্টের জন্য রাজ্যের ১৪টি মেডিক্যাল কলেজকে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এখানেই রাজ্যের ২৮টি স্বাস্থ্য জেলার সঙ্গে ওই ১৪টি মেডিক্যাল কলেজকে যুক্ত করা হয়েছে। সংশ্লিস্ট স্বাস্থ্য জেলা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা পাঠানো হবে ওই নির্দিষ্ট ১৪টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানই পরীক্ষা হবে। তবে রিপোর্ট সঙ্গে সঙ্গে জানানো হবে না। সরকার এসব রিপোর্ট দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।
আরেকটি হচ্ছে পুল টেস্ট। যেসব এলাকায় স!ক্রমণ ঘটেনি বা যেখানে কারও করোনার উপসর্গ মেলেনি, সেখানে করা হবে এই টেস্ট। কম সময়ে একসঙ্গে অনেকের পরীক্ষা করা যাবে পুল টেস্টে। চিকিৎসকেরা বলেছেন, এই পদ্ধতিতে ৫ জনের লালা সংগ্রহ করে একসঙ্গে মিশিয়ে পিসিআর পদ্ধতিতে পরীক্ষা করা হবে। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে ধরা হবে ওই ৫ জনের কেউ সংক্রমিত হননি। পজিটিভ এলে ওই ৫ জনের আলাদা করে ফের পরীক্ষা হবে এমন স্থানে, যেখানে সংক্রমণের আশঙ্কা নেই। মূলত, যাঁদের উপসর্গ নেই, তাঁদের পরীক্ষা হবে এই পুল পদ্ধতিতে। কিন্তু সংক্রমিত এলাকায় এই পুল টেস্ট করা হবে না। এই টেস্ট কোনো বিশেষ এলাকা বা কোনো গোষ্ঠীর মধ্যে করা হতে পারে।
গতকাল কলকাতা পৌর করপোরেশনের মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, স্বাস্থ্য দপ্তরের অনুমতি ছাড়া এই টেস্ট করা যাবে না। রাজ্যের ১৩টি মেডিক্যাল কলেজ ও ২৮টি স্বাস্থ্য জেলায় করা যাবে এই র্যা পিড অ্যান্টিবডি টেস্ট। বলেছেন, যেসব এলাকায় করোনার সংক্রমণ বেশি, সেসব জায়গায় আজ থেকে পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। জানা গেছে, এই এলাকায় যাঁদের সপ্তাহ ধরে গলাব্যথা, কাশি ও জ্বর রয়েছে, তাঁদেরই লালা পরীক্ষা করা হবে এখানে।