অকালে সুশান্ত সিং রাজপুত চলে গেলেন। রেখে গেলেন নানা মত, নানা আলোচনা। তার মৃত্যু ঘিরে সামনে আসছে শত শত প্রশ্ন। কেন সুশান্ত আত্মহত্যা করলেন?
এ প্রশ্নের উত্তরে বলিউডের একাংশের দিকে আঙুল তুলেছেন কঙ্গনা রানাউত। নাম বলেননি, তাই সুশান্তের পরিণতির জন্য ঠিক কার বা কাদের কথা বলতে চাইছেন কঙ্গনা, তা নিয়ে আলোচনা, গবেষণা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। নানা অভিযোগ, অনুযোগ সেখানে।
ইতমেধ্য কয়েকটি নাম চলে এসেছে নেটিজনদের আলোচনায়। তাদের মধ্যে রয়েছে করণ জোহর ও সালমান খান। বলিউডের এ দুই প্রভাবশালী তারকার বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন নেটিজেনদের একাংশ। সুশান্তের মৃত্যুর জন্য করণ, সালমানদের দায়ী করে তাঁদের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়েছে।
সুশান্তের মৃত্যুর জন্য বলিউডের এ বড় তারকাদের স্বজনপোষণকেই দায়ী করছেন অনেকে। সেই রাগ ও ক্ষোভে কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হলো।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর করণ জোহরের ধর্মা প্রোডাকশন, যশরাজ ফিল্মস, টি সিরিজ, একতা কাপুরের বালাজি, সালমান খান প্রোডাকশন ও নাদিয়াদওলা প্রয়োজনা সংস্থার দিকে আঙুল তোলা হয়েছে।
অভিনেতা ও প্রযোজক কমল আর খান সুশান্তের মৃত্যুর পর একটি টুইট করেন। সেখান তিনি অভিযোগ করেন, এ ৬টি প্রযোজনা সংস্থার হাতে গোটা বলিউড। সংস্থা যদি কাউকে পছন্দ না করে, তাহলে খুব সহজে যে কারোর ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দিতে পারে বলেও মন্তব্য করেন কমল আর খান।
পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের ভাই অভিনব কাশ্যপ বলেছেন, সুশান্তকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। তিনি খান পরিবারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন অভিনব কাশ্যপ।
তিনি বলেন, দাবাং-এর সাফল্যের পর অর্থাৎ বছর দুয়েক আগে দাবাং পার্ট টু তৈরিতে হাত দেন। ওই সময় সালমান খানের দুই ভাই আরবাজ খান ও সোহেল খান তাঁর ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগেন বলে অভিযোগ করেন অভিনব। শুধু তা–ই নয়, অভিনব তাঁদের কথামতো না চললে, তাঁকে খুন করা হবে ও পরিবারের মহিলা সদস্যদের ধর্ষণ করা হবে বলেও নাকি হুমকি দেওয়া হয় অনুরাগ কাশ্যপের ভাইকে। এসব তিনি টুইটারে লিখেছেন স্পষ্টভাবে।
সুশান্তের ভক্তরা উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং–উনের ছবি মিশিয়ে লিখেছেন, হত্যাকারী। ♦