স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অনলাইন ট্রেডিংয়ের পরামর্শ

0

রোনা পরিস্থিতিতে আগামীকাল রোববার থেকে বাংলাদেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে এক যোগে লেনদেন শুরু হচ্ছে।

বিনিয়োগকারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ ও তাদের প্রত্যেক ট্রেক হোল্ডার। কিন্তু এ পরিস্থিতিতে লেনদেনের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে অনলাইন ট্রেডিং পদ্ধতি (মোবাইল ফোন, ইমেইল, অনলাইন ও অ্যপভিত্তিক লেনদেন) অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, ২৮ মে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুঁজিবাজারের কার্যক্রম চালুর অনুমতি দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৩১ মে থেকে লেনদেন চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে পুঁজিবাজার ডিএসইর পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, বিনিয়োগকারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা তাদের নিজেদের কাছে। তাদের নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিজেদেরকে করতে হবে। আমি বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানাব, তারা যেন বাসায় বসে মেসেজ, ইমেইল, ফোনের মাধ্যমে ডিজিটাল লেনদেন করেন। এটা বিনিয়োগকারীর দায়িত্ব।

ডিএসইর অপর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, জীবনটা আগে, তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লেনদেন করতে হবে। সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্রোকার হাউজগুলো অফিস পরিচালনা করবে। তারা বিশেষ ব্যবস্থা নেবে যাতে বিনিয়োগকারীদের মেসেজ, ইমেইল বা ফোনের খুব স্বল্প সময়ে ব্যবস্থা নিতে পারে। বিনিয়োগকারীদেরকে দলে দলে ব্রোকার হাউসগুলোতে ভিড় না জমানোর আহ্বান জানান তিনি।

বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবু আহাম্মেদ বলেন, মার্কেটে উত্থান-পতন থাকবেই, এটা মার্কেট এর একটা অংশ। তবে করোনা পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের ধৈর্য ধরে বিনিয়োগ করতে হবে। হঠাৎ বাজার ভালো হবে না, একটু সময় দিতে হবে। পাশাপাশি সব পক্ষকে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সহসভাপতি কাজী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অপ্রত্যাশিত করোনা ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে সব বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তার সঙ্গে মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস পড়ে হাউজে যাওয়া উচিত। সবচেয়ে উত্তম মোবাইলে বা অনলাইনে লেনদেন করা। আর বুঝে-শুনে ও দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করা ভালো।

Share.