করোনাভাইরাস টিকা: মডার্নার দুই নির্বাহীর শেয়ার বিক্রি

0

ভেল করোনাভাইরাসের টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগে প্রাথমিক সাফল্য দাবির পর প্রস্তুতকারক মডার্নার দরে উল্লম্ফনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যখন শেয়ার কেনার হিড়িক পড়েছে, তখন কোম্পানির দুই শীর্ষ কর্তার নীরবে শেয়ার বিক্রি করেছেন।

আপাতদৃষ্টিতে আইন মেনে এ লেনদেন হলেও এমন সুখবরের মধ্যে কোম্পানির শীর্ষ পর্যায়ের কর্তাদের শেয়ার বিক্রি করা ও পরপর কোম্পানিটির দরপতন ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বলে মনে করছেন কোনো কোনো বিশ্লেষক।

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সোমবার দিনের লেনদেন শেষে টিকা প্রস্তুতকারক জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানিটি মডার্নার দর ৩০ শতাংশ বেড়ে যায়।

বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থায় জমা পড়া নথি পর্যালোচনা করে সিএনএন বিজনেস শো বলছে, আভ্যন্তরীণ লেনদেন পরিকল্পার আওতায় কোম্পানির দুই শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা সোম ও মঙ্গলবার নিজেদের হাতে থাকা প্রায় ৩ কোটি ডলারের শেয়ার বিক্রি করেছেন।

সোমবার বাজারে লেনদেন শুরুর আগে টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগে উদ্দীপনা জাগানো ফল পাওয়ার ঘোষণা দিয়ে মডার্না ওয়াল স্ট্রিটে সারা জাগানোর পর দুজনের এ লেনদেন সম্পন্ন হয়।

বাজারে কোম্পানির কোনো পণ্য না থাকলেও দিন শেষে মডার্নার বাজারমূল্য দুই হাজার ৯০০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়।

মডার্নার শেয়ারের দর সোমবার সর্বোচ্চ ৮৭ ডলারে উঠেছিল। কিন্তু টিকার প্রাথমিক পরীক্ষার ফলের গুরুত্ব নিয়ে চিকিত্সা বিশেষজ্ঞদের মধ্যে বিতর্ক শুরুর পর তা ৭০ ডলারের নিচে নেমে যায়।

১০বি৫-১ প্ল্যান নামে পরিচিত স্বয়ংক্রিয় অভ্যন্তরীণ পদ্ধতিতে দুজনের ওই লেনদেন সম্পন্ন হয়। প্ল্যানের আওতায় ভবিষ্যতে নির্দিষ্ট ও নির্ধারিত দামে শেয়ার কেনাবেচা হয়।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে জমা দেওয়া নথি অনুযায়ী, মডার্নার প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) লরেন্স কিমের সোমবার ৩০ লাখ ডলারে ২ লাখ ৪১ হাজার শেয়ার বিক্রির কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে শেয়ারগুলি তিনি এককোটি ৯৮ লাখ ডলারে বিক্রি করে এক কোটি ৬৮ লাখ ডলার মুনাফা করেছেন।

প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা (সিএমও) টাল জ্যাকসের পরের দিন ১৫ লাখ ডলারের শেয়ার বিক্রির কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে তিনি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার ডলারে তা বিক্রি করে ৮২ লাখ ডলার মুনাফা করেন।

Share.