করোনাভাইরাস নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে ভক্তদের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার জবাব দিলেন কানাডিয়ান গায়ক ব্রায়ান অ্যাডামস। মহামারীর এ সময়ে অন্যদের মতো ব্রায়ান অ্যাডামসও ঘরবন্দি জীবন কাটাচ্ছেন। এরই মাঝে ১৯৮৩ সালের তার জনপ্রিয় গান ‘কাট লাইক এ নাইফ’ গানটি এককভাবে গেয়ে, সোমবার ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করে ভক্তদের আক্রোশের মুখে পড়েছেন এই ষাট বছর বয়সি গায়ক। গানের জন্য নয়, গানের ভিডিওর সঙ্গে তিনি যে লেখা পোস্ট করেছেন তার জন্য ভক্তরা ক্ষেপেছেন।
ইন্সটাগ্রামের ওই পোস্ট ধরে পিপল ম্যাগাজিনের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, এদিন লন্ডনে তিনদিনের একটি কনসার্টে অংশ নেয়ার করার কথা ছিল অ্যাডামসের। তবে মহামারীর কারণে সে আয়োজন পিছিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ২০২১ সালের এপ্রিলে। এছাড়া বনজোভির সঙ্গেও বেশ কয়েকটি কনসার্ট করার কথা ছিল তার।
সেটা ধরেই অ্যাডামস লেখেন, “আজকে আমার রয়াল অ্যালবার্ট হলে কনসার্ট করার কথা ছিল। তবে ধন্যবাদ জানাই সেসব বাদুড়-খেকো, পাকা-বাজারী, ভাইরাস তৈরির লোভী জারজদের, যাদের কারণে সারা বিশ্ব এখন থমকে গেছে। আর হাজার হাজার মানুষ এর জন্য কষ্ট পাচ্ছে, মারা যাচ্ছে তাদের কথা না-হয় নাই বললাম। আমার এই বার্তার মাধ্যমে আসলে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই যারা নিরামিষাশী।”
অ্যাডামসের লেখায় কিছু অপ্রমাণিত তথ্য রয়েছে। যেমন তিনি উল্লেখ করেছেন কোভিড-১৯ শুরু হওয়ার কারণ হতে পারে বাদুড় খাওয়া কিংবা বাদুড় কামড়িয়েছে এমন কোনো প্রাণী খাওয়া।
ফলে তার ওই ইন্সটাগ্রামের পোস্টের নিচে এত পরিমাণ নেতিবাচক মন্তব্য পড়তে শুরু করে যে শেষ পর্যন্ত অ্যাডামস ‘কমেন্ট’ করার ‘অপশন’ বন্ধ করে দেন। তবে পোস্টটি মুছেও দেননি বা কোনো পরিবর্তনও করেননি।
পরদিন অর্থাৎ গতকাল তিনি নতুন করে ইন্সটাগ্রামে লেখেন, “ঘরবন্দি জীবনে সন্তান আর পরিবারের সঙ্গে আমার দারুণ সময় কাটছে। তবে আমার পরিবারের অন্য সদস্য- যাদের মধ্যে রয়েছেন আমার ব্যান্ড, আমার কর্মী বাহিনী, ভক্তরা- তাদের অভাবও বোধ করছি। তোমারা তোমাদের যত্ন নিও, আশা করি আবার আমাদের দেখা হবে।”
তিনি আরও লেখেন, “গতকালের পোস্টের জন্য যারা কষ্ট পেয়েছেন তাদের কাছে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।”
‘প্লিজ ফরগিভ মি’ খ্যাত গায়ক আরও লেখেন, “কৈফিয়ত দিচ্ছি না। তবে আমার ওই রূঢ় মন্তব্যের কারণ ছিল ‘ওয়েট-মার্কেটে’ প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা বন্ধ করার ব্যাপারে, যেটা হতে পারে ভাইরাস ছড়াবার সম্ভাব্য কারণ। সে সঙ্গে নিরামিষাশী হওয়ার অনুপ্রেরণা দেওয়া। আমার ভালোবাসা থাকলো সবার জন্য।” ♦