আজ রাজধানীর মিন্টু রোডে সিটিটিসির প্রধান কার্যালয়ে এসব নিরাপত্তা সামগ্রী আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়। ইভ্যালির পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মেদ রাসেল সিটিটিসির প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলামের কাছে এসব সামগ্রী হস্তান্তর করেন।
ইভ্যালি ও সিটিটিসি সূত্রে জানা যায়, এসব নিরাপত্তা সামগ্রীর মাঝে ২৫০ পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই), আড়াই হাজার মাস্ক, ২৫০ আই প্রটেকটিভ গ্লাস, ২৫০ হ্যান্ড ওয়াশার ও ৫০০ হ্যান্ড স্যানিটাইজার রয়েছে। এছাড়া সিটিটিসি কার্যালয়ের জন্য চারটি হ্যান্ড থার্মোমিটারও দেয়া হয়েছে।
ইভ্যালির সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেল বলেন, করোনা দুর্যোগকালীন চিকিৎসকদের পাশাপাশি সামনের সারিতে থেকে যারা আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছেন, তাদের মধ্যে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা অন্যতম। সিটিটিসি ডিএমপির একটি বিশেষায়িত ইউনিট। তাদের পেশাদারিত্ব ও নিরলস পরিশ্রমের প্রতি সম্মান ও কৃতজ্ঞতা জানাতে আমরা আমাদের ক্ষুদ্র সামর্থ্যের উপহার দিয়েছি।
এ সময় পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের নিরাপদ রাখতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। তারা নিরাপদ থাকলে ও আমরা সচেতন হলে সবাই নিরাপদে থাকব।
ইভ্যালিকে ধন্যবাদ জানিয়ে সিটিটিসি প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, করোনার এ সময়ে পুলিশের সব সদস্য নিজ অবস্থান থেকে সাহসের সঙ্গে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন। করোনায় পুলিশ সদস্যরাও আক্রান্ত হচ্ছেন, মৃতের ঘটনাও ঘটেছে। এরপরও দেশের যেকোনো সংকটে বরাবরের মতো পুলিশ সদস্যরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা প্রতিরোধসহ জনগণের নিরাপত্তায় কাজ করছেন। ইভ্যালি আমাদের পাশে দাঁড়ানোয় আমরা কৃতজ্ঞ। এতে আমরা আরো অনুপ্রাণিত হবো।
এ সময় সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নাজমুল ইসলাম ও বাহন এক্সপ্রেসের চেয়ারম্যান কাজী নাসিম উদ্দিনসহ সিটিটিসির অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ♦