জুনে দেশে করোনা ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল!

0
বাংলাদেশে আগামী জুনে করোনাভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ডিজি মেজর জেনারেল মাহাবুবুর রহমান। আজ রাজধানীর মহাখালীতে ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে কয়েকটি ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান। ২০ মের মধ্যে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় রেমডেসিভির ওষুধের ব্যবহার শুরু হওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি।

অদৃশ্য শক্রর বিরুদ্ধে লড়ছে মানুষ। প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রচেষ্টাও চলছে জোরেসোরে। বিশ্বব্যাপী আট দেশ করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা করছে। এর মধ্যে কয়েকটি দেশ কয়েক ধাপ এগিয়েছেও।

বিশ্বব্যাপী ভ্যাকসিন আবিষ্কারের প্রচেষ্টা যখন চলছে বাংলাদেশ তখন বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও চীনের একটি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে আলোচনা কিছুটা এগিয়েছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর আশাবাদী আগামী জুনেই বাংলাদেশে ভ্যাকসিনের ট্র্যায়াল শুরু করতে পারবে।

অধিদপ্তরের ডিজি মেজর জেনারেল মাহাবুবুর রহমান বলেন, অক্সফোর্ড ও চীন দুইয়েরই ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের কথা চলছে আইইডিসিআরের সঙ্গে। এর প্রয়োজনও রয়েছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের যাদের শরীরে এ ভ্যাকসিন কাজ করছে, আমাদের দেশে তা নাও করতে পারে।

এছাড়া করোনা প্রতিরোধে রেমডেসিভিরের ভালো ফল পাওয়ার কথা জানাচ্ছে বিভিন্ন দেশ। বাংলাদেশে আটটি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে এটি উৎপাদনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। চলতি মাসের বিশ তারিখের মধ্যে রেমডেসিভির পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

মেজর জেনারেল মাহাবুবুর রহমান বলেন, রেমডেসিভির আসলে ইবোলার জন্য আবিস্কৃত হয়েছিল। এটা পুরনো মেডিসিন। আমরা ধারণা করছি এটা কাজে আসতে পারে।

ভ্যাকসিন উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে এমন দুটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে রয়েছে বলেও জানায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

Share.