মহামারী করোনাভাইরাসের চতুর্মুখী তাণ্ডবে দিশেহারা বিশ্ববাসী। এবার এতে যেন ঘি ঢাললেন অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা। তারা বলছেন, মৃত্যুর পাশাপাশি নানা বিধিনিষেধ ও অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাবের কারণে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে।
সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে এ গবেষণা করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
লকডাউনের কারণে বেকার হয়ে পড়া ও মানসিক চাপে কেবল অস্ট্রেলিয়াতে আত্মহত্যা ৫০ শতাংশের মতো বাড়তে পারে, আশঙ্কা এ গবেষক দলের।
দেশটিতে প্রতি বছর প্রায় তিন হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে। করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত আত্মহত্যার এক তৃতীয়াংশই তরুণ হতে পারে বলে অস্ট্রেলীয় গবেষকদের মূল্যায়নে ধারণা দেওয়া হয়েছে।
“মানসিক, অর্থনৈতিক ও বেশি ঘরভাড়া সংক্রান্ত চাপের কারণে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদে তরুণরা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে,” বলা হয়েছে তাদের প্রতিবেদনে।
ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব, লকডাউন ও অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতিতে সৃষ্ট মানসিক চাপ নিয়ে বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকরা উদ্বিগ্ন। সংকটকালে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার উন্নতিতে অস্ট্রেলিয়া সরকার অতিরিক্ত ৩৫ কোটি ডলার বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ♦