বিশ্ব অর্থনীতি: পৃথিবী যখন করোনভাইরাস মহামারীর সঙ্গে লড়াই করছে, তখন ভাইরাস সংক্রমণ নিষেধাজ্ঞাগুলি বাতাস এমনকি পুরো আকাশকেও পরিষ্কার করছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কেউ কেউ বলছেন, লকডাউন ও দূষণের মাত্রার মধ্যে একটা পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে। অবশ্য অনেকে এর সঙ্গে একমত নন।
ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি অর্থাৎ ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা জানিয়েছে, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত চীনে বায়ু দূষণকারী নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইডের উপস্থিতি ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কম বলে অনুভূত হয়েছে।
ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির তরফ থেকে সিমোনিত চেলি বলেন, চীনের হুবেই অঞ্চলে লকডাউনের পরে সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এজন্য বায়ু দূষণ হ্রাস পেয়েছে।
মেক্সিকোর ওয়ার্ল্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউটের বিয়াটিরিজ কারডেনাস বর্ণনা করেছেন যে কীভাবে নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড বাতাসকে প্রভাবিত করে। তিনি বলেন, এটি বায়ুমণ্ডলে থাকা অবস্থায় শুধু পরিবেশ নয়, মানুষের স্বাস্থ্যের উপরেও প্রভাব ফেলে এবং এটি বায়ুমণ্ডলীয় দিক থেকেও একটি মূল দূষণকারী গাস। এ গ্যাস একবার বায়ুমণ্ডলে থাকলে এটি অন্যান্য দূষক উৎপাদন করে এবং অন্যান্য দূষণকারী উপাদানের সঙ্গে এর প্রতিক্রিয়া হয়।
বাতাসে এসব দূষণের কারণে নিজেদের স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখা মানুষের পক্ষে কঠিন।
বিয়াটিরিজ কারডেনাস আরও বলেন, মানুষের ক্রিয়াকলাপ ও আবহাওয়ার নিদর্শনগুলির পরিবর্তন- এ দুইয়ের মধ্যে কোন সম্পর্ক আছে কিনা, করোনভাইরাসের মহামারির কারণে এ লকডাউন শেষ হয়ে গেলে এর থেকে আমাদের কিছু শিক্ষা নেওয়া উচিত।