মূলত প্লাজমোডিয়াম গোত্রের কয়েক ধরনের পরজীবী ম্যালেরিয়ার কারণ হিসেবে বিবেচিত। এ জীবাণু মানুষের দেহে পৌঁছায় স্ত্রী জাতীয় অ্যানোফিলিস মশার কামড়ে। মশাকে যদি ওই পরজীবীর হাত থেকে রক্ষা করা যায়, তাহলে মানুষকেও ম্যালেরিয়ার হাত থেকে বাঁচানো যাবে। এজন্য ‘মাইক্রোসপরিডিয়া এমবি’ নামের এ অণুজীবকে ছড়িয়ে দিতে হবে মশাদের মধ্যে, যেটা ম্যালেরিয়ার জন্য দায়ী জীবাণুর হাত থেকে তাদের সুরক্ষা দেবে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, কেনিয়ার লেক ভিক্টোরিয়ার তীরবর্তী এলাকায় মশা নিয়ে গবেষণার সময় মাইক্রোসপরিডিয়া এমবির উপস্থিত পান বিজ্ঞানীরা। মশার অন্ত্র ও প্রজননতন্ত্রে ওই অণুজীব বাস করে। গবেষকরা দেখতে পান, যে মশার দেহে মাইক্রোসপরিডিয়া এমবি আছে, সে মশাকে ম্যালেরিয়ার জীবাণু আক্রান্ত করতে পারে না। পরে ল্যাবরেটরির পরীক্ষাতেও তারা এর প্রমাণ পান বলে বিজ্ঞান সাময়িকী নেচার কমিউনিকেশনসে প্রকাশিত এক নিবন্ধে তারা উল্লেখ করেছেন। ♦