ভিয়েতনামে শিশুরা তিন মাস পর স্কুলে

0
ভিয়েতনামে লাখ লাখ শিশু আজ স্কুলে ফিরেছে। টানা ১৭ দিন দেশটিতে নতুন করে কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। এর আগে এপ্রিলের শেষ নাগাদ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে সামাজিক দূরত্ব শিথিল করা হয়। দেশটিতে করোনা প্রতিরোধে গণ কোয়ারেন্টাইনসহ রোগীর সংস্পর্শে ব্যক্তিদের দ্রুত খুঁজে বের করা ও আলাদা করার মতো পদক্ষেপ নেয়ার সাফল্য এসেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

পশ্চিম হ্যানয়ের একটি স্কুলে দেখা গেছে মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাশ রুমে ঢোকার আগে শান্তভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করাচ্ছে।

তিনমাসেরও বেশি সময় পর স্কুলে আসতে পেরে খুশি শিক্ষার্থীরা। এগারো বছর বয়সী ফাম আঞ্চ কিয়েত বলছে, আমি খুবই খুশি ও আবেগ আপ্লুত। কারণ বাসায় থাকা বিরক্তিকর। অপর এক শিক্ষার্থী ট্রান ডাং নগোক আঞ্চ (১২) বলছে, সে তার বন্ধু ও শিক্ষকদের খুব মিস করেছে। এখন স্কুলে ফিরতে পেরে খুশি।

ভিয়েতনামে স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রায় দুই কোটি ২০ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। জানুয়ারির শেষ নাগাদ স্কুল-কলেজ ছুটি দেয়া হয়।
গত সপ্তাহ থেকে স্কুলে কিছু শিক্ষার্থী ফিরতে শুরু করে। কিন্তু প্রাইমারি ও কিন্টারগার্টেন শিক্ষার্থীদের ক্লাশে ফিরতে আরো এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একের পর খুলতে শুরু করেছে।

রোববার পর্যন্ত ভিয়েতনামের সরকারি হিসেবে বলা হয়েছে, মাত্র ২৭১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু কেউ মারা যায়নি। দেশটিতে দুসপ্তাহ আগে সর্বশেষ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
কর্তৃপক্ষ স্কুলগুলোয় সামাজিক দূরত্ব কঠোরভাবে পালনের নির্দেশ দিয়েছে। সব সময়ের জন্যে শিক্ষার্থীদের ১.৫ মিটার দূরত্ব পালন ও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

হ্যানয়ের একজন প্রধান শিক্ষক স্বীকার করেছেন, শিশুদের দিয়ে এ নিয়ম পালন করানো খুবই কঠিন হয়ে পড়বে। ব্রেক টাইমে তারা খুবই চঞ্চল থাকে। এ সময় দূরত্ব মেনে চলার নিয়ম রক্ষা করা কঠিন হবে। তবে তিনি বলেন, সমস্যা নেই। আমরা এ সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। সব অভিভাবক শিশুদরে মাস্ক দিয়েছে। আমরাও ১০ হাজার মাস্ক কিনেছি শিশুদের জন্যে। এছাড়া টয়লেটে পর্যাপ্ত পরিমাণে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা হয়েছে।

Share.