১৯৮৫ সালে প্রায় নয় মাস ধরে বিটিভিতে প্রচারিত এ ধারাবাহিকের প্রতিটি পর্বের জন্য রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষায় থাকতেন দর্শকরা। এতে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের সুখ-দুঃখ, ভালোবাসার গল্প দর্শকদের মনে এখনও জীবন্ত।
লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত টুনির মৃত্যুর দৃশ্য আলোড়ন তোলে দেশজুড়ে। টুনির চরিত্রে অভিনয় করেন নায়ার সুলতানা লোপা।
নাটতটিতে বুলবুল আহমেদ, শিল্পী সরকার অপু, আসাদুজ্জামান নূর, দিলারা জামানসহ আরো অনেকে অভিনয় করেন।
এক পর্বের নাটক নিয়ে প্রযোজক মুস্তাফিজুর রহমানের কাছে গেলে তিনি ধারাবাহিক করার পরামর্শ দেন, কিছু না ভেবেই রাজি হয়ে গিয়েছিলেন তখনকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হুমায়ূন।
পরবর্তী সময়ে নয় পর্বের জন্য ধারাবাহিকটি চূড়ান্ত করা হলেও দর্শকদের আগ্রহের বিবেচনায় রেখে ক্রমেই পর্বের সংখ্যা বাড়াতে হয়।
নাটকটি নিয়ে জনপ্রিয় আরো একটি মিথ। হুমায়ূন আহমেদ লিখেছেন, “এক সন্ধ্যায় একজন ভদ্রলোক আমার বাসায় এসে উপস্থিত। তার মেয়ের এসএসসি পরীক্ষা চলছিল, তাই এইসব দিনরাত্রির একটি পর্ব তাকে দেখতে দেওয়া হয়নি। এখন সেই মেয়ে বলেছে, সে আর পরীক্ষা দেবে না। এখন আমি যদি বুঝিয়ে-শুনিয়ে তাকে রাজি করাতে পারি।”
এর আগে বিটিভিতে তিনটি একক নাটক প্রচার হলেও ‘এইসব দিনরাত্রি’ প্রচারের পর নাট্যকার হিসেবে খ্যাতি পান তিনি। পরবর্তীকালে বহুব্রীহি ও কোথাও কেউ নেই এর মতো নন্দিত ধারাবাহিক দর্শকদের উপহার দেন তিনি। ৬ এপ্রিল থেকে নাটক দুটি বিটিভিতে প্রচার হচ্ছে। এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ♦