চলতি মাসে এ পদ ছেড়ে যাচ্ছেন চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন ও কমিশনার প্রফেসর হেলাল উদ্দীন নিজামী। তারা যাওয়ার পর কমিশন ফাঁকা হয়ে যাবে। ফলে নতুন নিয়োগ না হলে পুঁজিবাজার নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না বিএসইসি কর্তৃপক্ষ।
মেয়াদ শেষ হওয়া কারণে ৩ মে পদ ছেড়ে যেতে হচ্ছে প্রফেসর হেলাল উদ্দীন নিজামীকে। তিনি আগের কর্মস্থল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যাবেন। আর ১৪ মে দায়িত্ব শেষ হচ্ছে চেয়ারম্যান ড. এম খ্য়ারুল হোসোনের। তিনিও আগের কর্মস্থল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যাবেন।
নিয়ম অনুয়ায়ী বিএসইসি কমিশন বৈঠকের কোরামের জন্য চেয়ারম্যান ও দুইজন কমিশনারের উপস্থিতি প্রয়োজন। সেখানে ১৪ মের পর বিএসইতে চার জনের তিনজনই থাকছেন না। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।
তবে নতুন নিয়োগ কবে হবে তা বলতে পারছে না বিএসইসি কর্তৃপক্ষ।
করোনাকালে আগের কমিশন দায়িত্ব পালন করবেন এমন কথা শোনা যাচ্ছে। তবে বিষয়টির কোনো ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছেন বিএসইসির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। তিনি বলেন এটা নিছক গুজব।
২০১০ সালে পুঁজিবাজারে ধ্বসের পর বিএসইসির কমিশন নতুন করে সাজানো হয়। তখন নতুন কমিশনের দায়িত্ব পান রাষ্ট্রীয় মালিকানার বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবি’র চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যানের অধ্যাপক প্রফেসর ড. এম খায়রুল হোসেন।
একই সময়ে কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন নিজামী ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আরিফ খান। পরে আরিফ খান স্বেচ্ছায় দায়িত্ব ছেড়ে যান।
২০১০ সালে নিয়োগ পাওয়ার পর হেলাল উদ্দীন নিজামী ও ড এম খায়রুলের দায়িত্বের মেয়াদ দুই দফায় বাড়ানো হয়। তারা বিএসইসির কিছু আইন সংস্কার করেন। ♦