আরএকে সিরামিকসের রেটিং ‘এএ প্লাস’ ও ‘এসটি-১’

0

সিরামিক খাতের কোম্পানি আরএকে সিরামিকস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (ক্রিসেল)।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএ প্লাস’ আর স্বল্প মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এসটি-১’। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ মূল্যায়ন করা হয়েছে কোম্পানিটিকে।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৪৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ২৯ পয়সা।

এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৭৫ পয়সা।

এর আগে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে আরএকে সিরামিকসের পরিচালনা পর্ষদ।

আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫৭ পয়সা আর ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৮৫ পয়সায়।

এর আগে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল দুই টাকা ১২ পয়সা আর ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য দাঁড়ায় ১৭ টাকা ৫৩ পয়সা। এছাড়া ওই আর্থিক বছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছিল এক টাকা ৩৬ পয়সা।

তার আগে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৭৩ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ১৬ টাকা ৪১ পয়সা। আর ওই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছিল দুই টাকা ৮৭ পয়সা।

আরএকে সিরামিকস

কোম্পানিটি ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। ৬০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪২৭ কোটি ৯৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

কোম্পানিটির ৪২ কোটি ৭৯ লাখ ৬৮ হাজার ৭০১টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৭২ দশমিক ১০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ১৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ৫৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে আট দশমিক ৭৫ শতাংশ শেয়ার। 

Share.