যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের সীমা বাড়ানোর পক্ষে ভোট দিয়েছে দেশটির কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ। গত বুধবার এ-সংক্রান্ত বিলের ওপর রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদে ভোটাভুটি হয়।
বিলটির পক্ষে ৩১৪ ভোট পড়ে, বিপক্ষে ১১৭ ভোট।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণসীমা ৩১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন বা ৩১ লাখ ৪০ হাজার কোটি ডলার। গত জানুয়ারিতে এই ঋণসীমা ছুঁয়ে ফেলে যুক্তরাষ্ট্র।
এর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকার নানা ধরনের বিশেষ ব্যবস্থা অবলম্বন করে দেশটির বিভিন্ন দেনা পরিশোধ করে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ঋণখেলাপি হওয়া এড়াতে প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি বিপুল ভোটে পাসের বিষয়টিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে।
ঋণসীমা বাড়ানোর বিষয়ে ওয়াশিংটনে অচলাবস্থা চলছিল। বাইডেন চান ধনীদের করহার বৃদ্ধিসহ নানাভাবে কর সংগ্রহ বৃদ্ধি করে ঋণসীমা বৃদ্ধি করতে, কিন্তু রিপাবলিকানরা কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট হ্রাসের বিষয়ে নাছোড়বান্দা। এমনকি ধনীদের ওপর কর বৃদ্ধির বিপক্ষেও তারা।
জানা গেছে, সাপ্লিমেন্টাল নিউট্রিশন অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রামের (এসএনএপি) অন্তর্ভুক্ত হতে নাগরিকদের জন্য শর্ত আরও কঠোর করতে চান রিপাবলিকানরা। পার্টির প্রতিনিধি গ্যারেট গ্রেভস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বয়স্ক কিন্তু শক্তসমর্থ নাগরিক, যাদের কোনো পোষ্য নেই, তাদের এই সহায়তা পাওয়ার জন্য কাজ করতে হবে—এমন শর্ত দেয়া খুবই যথাযথ।
এ বিষয়গুলো নিয়ে দফায় দফায় আলোচনার পর গত শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি সমঝোতার ঘোষণা দেন। এর ধারাবাহিকতায় প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি পাস হলো।
প্রতিনিধি পরিষদে পাস হওয়ার পর এখন বিলটি মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে যাবে। ডেমোক্রেট-নিয়ন্ত্রিত ১০০ আসনের সিনেটে বিলটি পাস হতে ৬০ ভোটের দরকার হবে।
বিলটি সিনেটে পাস হলে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে তা আইনে পরিণত হবে। হোয়াইট হাউস দুই বছরের জন্য ঋণের মেয়াদ বৃদ্ধির চেষ্টা করছে।
৫ জুনের আগে ৯৯ পৃষ্ঠার এই বিল পাস হয়ে আইনে পরিণত হওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মার্কিন সরকারের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণসীমা বাড়ানোর শেষ তারিখ ৫ জুন। এই সময়ের মধ্যে ঋণসীমা বাড়ানো না গেলে যুক্তরাষ্ট্র দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে। ♦